করিশ্মা কপূর। ছবি: সংগৃহীত।
টেলিভিশনের পর্দায় ‘বিবি নং ওয়ান’ কিংবা ‘রাজা হিন্দুস্তানি’ চললে চোখ সেদিকে আটকাতে বাধ্য। কারণ পর্দায় যে করিশ্মা কপূর আছেন। নব্বইয়ের দশকের প্রতিনিধিরা পর্দায় করিশ্মার ‘ক্যারিশ্মা’ দেখার জন্য মুখিয়ে থাকতেন। অভিনয়ের গুণে আর সৌন্দর্যে একটা সময় মাতিয়ে রেখেছিলেন গোটা একটা প্রজন্মকে। তবে এখন পর্দায় খুব কমই দেখা যায় করিশ্মাকে।
পর্দায় দেখা না দিলেও, জিমের বাইরে হোক কিংবা পারিবারিক কোনও অনুষ্ঠানে, করিশ্মা প্রায়ই দেখা দেন। বয়স ধরে রাখা সহজ নয়। কিন্তু করিশ্মা যে সে ক্ষেত্রে সফল, ৫০-এর দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে নায়িকার ছিপছিপে নির্মেদ চেহারা আর টানটান ত্বক তার প্রমাণ। কম বয়সের উচ্ছলতা শুধু তার মনে নয়, চেহারাতেও সমান ভাবে রয়েছে। দৈনন্দিন জীবনে কী এমন রুটিন মেনে চলেন অভিনেত্রী? শরীরচর্চা না কি ডায়েট, কিসের উপর বেশি ভরসা তাঁর
ফাঁকা সময় তিনি ব্যবহার করেন শরীরচর্চা করে। নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া তো তিনি করেনই, তবে তার পাশাপাশি শরীরচর্চাতেও সমান নজর তাঁর। কেমন করিশ্মার ফিটনেস রুটিন? জিমে ঘাম ধরাতে ভালবাসেন করিশ্মা। তাই দিনের অধিকাংশ সময় জিমেই কাটান তিনি। ওজন তোলা, ট্রে়ডমিলে হাঁটা তো আছেই সেই সঙ্গে এইচআইআইটিও করেন। তবে জিম থেকে ফেরার পর যে শরীরচর্চায় ইতি টানেন তিনি, তা কিন্তু নয়। বরং নিয়ম করে দিনের একটা সময় হাঁটতে যান তিনি। মাঝেমাঝেই ছুটি কাটাতে বিদেশে পাড়ি দেন করিশ্মা। তবে বিদেশ-বিভুঁইয়ে গিয়েও শরীরচর্চায় ছেদ পড়ে না। সমুদ্রসৈকতে কিংবা হোটেলের ব্যলকনিতে, যোগাসনরত করিশ্মার ছবি তাঁর ইনস্টাগ্রাম ঘাঁটলেই চোখে পড়বে।
শরীরচর্চার পাশাপাশি খাওয়াদাওয়া নিয়েও খুঁতখুঁতে তিনি। সকাল থেকে শুরু করে রাত, খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মেনে চলেন তিনি। অভিনেত্রীর সকালের জলখাবারে থাকে কাঠবাদামের দুধ, অমলেট, ড্রাই ফ্রুটস এবং চিয়া বীজ। সেই সঙ্গে মরসুমি বিভিন্ন ফল। বিশেষ করে বেরি। দুপুর এবং রাতেও বাড়ির খাবারই খান তিনি। তবে মাঝেমাঝে কিন্তু নিয়মও ভাঙেন করিশ্মা। বোন করিনাকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন রেস্তরাঁর খাবার খেতে। বিরিয়ানি খেতে প্রচণ্ড ভালবাসেন তিনি। ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় তাঁকে বিরিয়ানি খাওয়া থেকে দমাতে পারে না। বিরিয়ানি খেলেও পরের দিন বেশি ক্ষণ শরীরচর্চা করে নেন।