কোন সাবান কত ভাল বুঝবেন কী দেখে ছবি: সংগৃহীত
সাবান তৈরির পিছনে রয়েছে রসায়নের নানা সূত্র। সহজ ভাষায় বললে ক্ষার ও ফ্যাটি অ্যাসিড বা স্নেহ পদার্থের বিক্রিয়ায় তৈরি হয় সাবান। বিজ্ঞানের পরিভাষায় প্রক্রিয়াটিকে বলে স্যাপোনিফিকেশন। শুনতে অদ্ভুত শোনালেও সাবান কিন্তু এক ধরনের লবন। সাবান উৎপাদন বিক্রিয়ার একটি উপজাত পদার্থ হিসেবে তৈরি হয় গ্লিসারিন। এই গ্লিসারিনের জন্যই সাবান আর্দ্রতা তৈরি করতে পারে।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
কোন সাবান কতটা ভাল তা মূলত নির্ভর করে টোটাল ফ্যাটি ম্যাটার নামক একটি বিষয়ের উপর। সাবানের মোড়কের উপর সংক্ষেপে খুব ছোট করে হলেও সংশ্লিষ্ট সাবানের টোটাল ফ্যাটি ম্যাটার বা সংক্ষেপে টিএফএম মান উল্লেখ করা থাকে। সরকারের তরফ থেকে বাজার চলতি সাবানকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা হয়। ‘টয়লেট সোপ’ ও ‘বেদিং বার’। সাধারণত টয়লেট সোপের ক্ষেত্রে টিএফএমের মান ৬০ শতাংশের বেশি হয় ও বেদিং বারের টিএফএমের মান ৪০ শতাংশের কাছাকাছি হয়।
সরকারের তরফ থেকে টিএফএমের উপর ভিত্তি করে টয়লেট সোপগুলিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। ইংরেজিতে এই ভাগগুলিকে গ্রেড বলে। ৭৬ শতাংশ বা তার বেশি টিএফএম মানের সাবানগুলিকে প্রথম শ্রেণির ও ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ টোটাল ফ্যাটি ম্যাটার সমৃদ্ধ সাবানকে দ্বিতীয় শ্রেণির তকমা দেওয়া হয়। ৭০ শতাংশের কম কিন্তু ৬০ শতাংশের বেশি টিএফেমের সাবান গুলিকে তৃতীয় শ্রেণির সাবান ধরা হয়। বাজারচলতি সাবানগুলির মধ্যে মাইসোর স্যান্ডল সাবানের টোটাল ফ্যাটি ম্যাটারের মান সর্বোচ্চ।