প্রযুক্তির বিড়ম্বনা । ছবি: সংগৃহীত।
অনলাইনে নিত্য ব্যবহারের নানা জিনিস অর্ডার করেন অনেকেই। ব্যক্তিগত জিনিস হলে তো কথাই নেই। দোকানে গিয়ে প্যাড, স্যানিটারি ন্যাপকিন বা কন্ডোমের মতো জিনিস কেনার বিষয়ে তরুণ প্রজন্মের আড়ষ্টতা তেমন নেই। তেমনই বিখ্যাত একটি অনলাইন কেনাকাটা করার ওয়েবসাইট থেকে প্রাক্তন সঙ্গীর জন্য কন্ডোম অর্ডার করেছিলেন এক তরুণী। কিন্তু সময়মতো তা বাড়ির দরজায় না পৌঁছনোয়, অ্যাপের সেটিংস থেকেই নানা ভাবে অভিযোগ করার চেষ্টা করছিলেন ওই তরুণী। উল্টো দিকে, ওই সংস্থায় কর্মরত যে ব্যক্তি বিষয়টি তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন, তিনিই আসলে ওই তরুণীর বর্তমান প্রেমিক। আর ঘটনার সূত্রপাত সেখান থেকেই।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্ডার দেওয়া জিনিস হাতে এসে না পৌঁছলে বা ঠিকানার অদল-বদল ঘটে গেলে নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমেই সেই বিষয়ে অভিযোগ জানানো যায়। উল্টো দিকে সংস্থার পক্ষ থেকে এমন বহু কর্মী থাকেন, যাঁরা ক্রেতার অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে তা নিষ্পত্তি করেন। কিন্তু সেই কাজটি করতে গিয়ে যে এমন একটি বিষয় প্রকাশ্যে চলে আসবে, তা আন্দাজ করতে পারেননি ওই কর্মী। তবে কোনও রাখঢাক না করে বিষয়টি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন তিনি। নাম, ঠিকানা গোপন রেখেই তিনি লেখেন, “বান্ধবীর নাম, পদবি দেখেই প্রথমে খটকা লাগে। তখনই বিষয়টি নিয়ে খোঁজ করতে শুরু করি। একই নাম-পদবীর মানুষ তো হতেই পারেন। কিন্তু ঠিকানা তো এক হতে পারে না। আমার বান্ধবী যে ঠিকানায় জিনিসপত্র পাঠাতে বলেছিলেন, তা আসলে তাঁর প্রাক্তন সঙ্গীর। যেখানে কোনও এক সময়ে তাঁরা একত্রযাপন করতেন।”
তবু এ পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। ওই অ্যাপ সংস্থায় কর্মরত তরুণ জানাচ্ছেন, অর্ডার দেওয়া জিনিসের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় নানা প্রকার জিনিসের মধ্যে হঠাৎ পুরুষদের জন্ম নিরোধক ব্যবস্থা অর্থাৎ, কন্ডোমের প্যাকেট দেখে হতভম্ব হয়ে যান। সঙ্গীনীর এমন আচরণ দেখে পায়ের তলার মাটি সরে যায় তাঁর। সমাজমাধ্যমেই তিনি জানতে চান, তাঁর আসলে কী করা উচিত? বান্ধবীকে এই বিষয়ে সরাসরি জি়জ্ঞাসা করা উচিত, না কি কোনও রকম কারণ না দেখিয়েই তাঁর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেওয়া উচিত?
ঘটনার বিবরণ শুনে তৎপর হয়ে উঠেছেন সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরাও। ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ না করলেও কেউ বলছেন, আর কিছু না হোক সত্যিটা তো সামনে এল। আবার অনেকের কপালেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে এই ধরনের অ্যাপ ব্যবহারের নিরাপত্তা নিয়ে।