বড়দিনের সন্ধ্যায় জমিয়ে সাজার সেরা সুযোগ। হাড়-কাঁপানো ঠান্ডায়ও উষ্ণতা বাড়াতে মনের মতো সেজে নিন। পথ দেখাক আপনার প্রিয় বলি-তারকারা।
কলকাতায় শীত আসতেই পালাই-পালাাই করে। তাই যাঁরা দীপিকার মতো চামড়ার প্যান্ট শখ করে কোনও কালে কিনেছিলেন, তা এখনই আলমারিতে থেকে বার করে পরে ফেলুন। ক্রিসমাসের সেরা রং লাল। তাই লাল রঙের সোয়েটার পরতেই পারেন। যদি দীপিকার মতো একটু অন্য কাটের পুলওভার আপনারও থাকে, তা হলে নির্দ্বিধায় পরে নিন।
ঠান্ডা ভালই পড়েছে। তাই ট্রেঞ্চকোট পরে ফেলার এটাই সেরা সুযোগ। যদি কিয়ারা আডবাণীর মতো কোনও মেঠো-রঙা কোট থাকে, তা হলে তো কথাই নেই। বার্গান্ডি, কমলা, লাল, মেরুন, মেটে-হলুদের মতো উষ্ণ রং এই সময়ে দারুণ মানাবে। সঙ্গে গয়না কী পরবেন বুঝতে না পারলে, কিয়ারার মতো স্বল্প সাজের পথে হাঁটাই ভাল।
উৎসবের দিনে একটু ঝলমলিয়ে না উঠলে কি চলে! শিল্পা শেট্টির মতো মেটালিক রঙা জাম্পস্যুট থাকলে পরে ফেলুন। যদি কোথাও বিশেষ পার্টি থাকে, তা-হলে ঝলমলে রুপোলি রঙের কোনও পোশাক বাছতে পারেন। একটু ঘরোয়া আড্ডার জন্য ম্যাট-গোল্ড রং দারুণ মানাবে। আন্দাজ করতে পারবেন শিল্পার সাজ দেখেই।
ধবধবে সাদাও কিন্তু এই মরসুমে নজর কাড়তে পারে। শরীর-চুম্বী বডিকন ড্রেস যদি থাকে, তা হলে আপনিও মৌনী রায়ের মতো সেজে উঠুন। সাদা রঙের পোশাক হলে রূপটানে নাটুকে ছোঁয়া রাখতেই পারেন। চুলের কায়দায় থাকুন মৌনীর মতোই স্নিগ্ধতা।
খুব চকমকে সাজ অপছন্দ। তা হলে অনন্যা পাণ্ডের মতো একটু মজাদার নকশা করা কোনও বম্বার জ্যাকেট জুটিয়ে নিন। মন-ভাল করা সাজে বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে বেরিয়ে চুটিয়ে উপভোগ করুন।
পার্টিতে ঢুকেই সকলের নজর আপনার উপর টানতে চান? প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার মতো টমেটো-রঙা সাহসী প্যান্টসুটের কোনও বিকল্প নেই। শীত কাটানোর চিন্তাও ঘুঁচল, আবার সাজেও কোনও রকম আপস করতে হল না। ঠোঁটের রংও বেছে নিন মানানসই।
যে কোনও উৎসবে বঙ্গললনাদের সেরা পোশাক হয়ে উঠতে পারে শাড়ি। জাহ্নবী কপূরের মতো ফিনফিনে অরগ্যাঞ্জা কাপড়ে ফুলেল ছাপ দেওয়া শাড়ি পরতে পারেন বড়দিনের যে কোনও অনুষ্ঠানে। সঙ্গে রাখুন মানানসই শাল। তবে পার্টির হইহল্লোড়ে আর ‘খানাপিনা’ শুরু হলে তখন আর শালের বিশেষ প্রয়োজন হবে না বলে ধরে নেওয়া যায়। তাই জাহ্নবীর মতো মন-ভোলানো ব্লাউজ কিন্তু এই শাড়ির সঙ্গে আবশ্যিক।
আপনার সাজ নিয়ে সকলে আলোচনা করুন, এমনটাই যদি চান তা হলে চোখ বন্ধ করে সামান্থা প্রভুর পথে হাঁটুন। পশ্চিমী এবং সাবেক সাজের মিশেল এখন যে কোনও অনুষ্ঠানে পরা চলে। সামান্থার মতো পুরোদস্তুর বোহেমিয়ান লম্বা জ্যাকেট যদি আপনার সংগ্রহে থাকে, তা হলে তার সঙ্গে কালো ক্রপ টপ আর প্যান্ট পরে ফেলুন। চুলও সামান্থার মতো পরিপাটি করে সাজাতে পারেন হেরায় স্প্রের সাহায্য। গয়না নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ভয় পাবেন না।
পারিবারিক অনুষ্ঠান থাকলে আলিয়া ভট্টের মতো কারুকাজ করা লং জ্যাকেট পরতেই পারেন। শীতে এমনিতে বেশির ভাগ মানুষ গাঢ় রং বেছে নেন। ভিড়ের মধ্যে আলাদা হয়ে উঠতে চাইলে আলিয়ার মতো ঘিয়ে বা অন্য কোনও নিউট্রাল রং পরতে পারেন। আলিয়ার মতো আপনার পোশাকেও যদি নাটকের ছোঁয়া থাকে, তা হলে রূপটান হোক ছিমছাম।