একঘেয়েমি, আতঙ্ক এবং পরিশ্রম। ঘরবন্দি মানুষের সঙ্গী এখন এই তিন অনুভূতিই। লকডাউনে অন্যতম বাইরের জানালা ইন্টারনেট। সেখানে এখন নিত্যনতুন ট্রেন্ড আসছে। তার মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে ‘ডালগোনা কফি চ্যালেঞ্জ’।
অনেকেই মজা করে বলছেন, এর নাম হওয়া উচিত ছিল ‘ডানাব্যথা কফি’। কারণ কফি বানানোর সময় এত ফেটাতে হয়, যে কাঁধ ব্যথা করতে থাকে।
ইন্টারনেটে তুমুল জনপ্রিয় এখন ‘ডালগোনাকফিচ্যালেঞ্জ’। তার আগে দক্ষিণ কোরিয়ার ইউটিউব চ্যানেল এবং টিক টক-এ এই কফি বানানোর পদ্ধতি নেটাগরিকদের মধ্যে আলোচিত হয়। তার পরই ঝড়ের বেগে ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারেনেট।
প্রকৃতপক্ষে ‘ডালগোনা’ শব্দটি দক্ষিণ কোরীয়। এক ধরনের স্পঞ্জ টফিকে সেখানকার স্থানীয় ভাষায় বলা হয় ‘ডালগোনা’। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সেই টফি পরিচিত ‘হনিকম্ব টফি’ নামে। কারণ এই টফি কামড়ানোর পরে ভিতরটা দেখতে লাগে মৌচাকের মত।
দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় অভিনেতা জুং ইল উ গিয়েছিলেন চিনের বিশেষ প্রশাসনিক ক্ষেত্র ম্যাকাও শহরে। সেখানে একটি পানীয়ের স্বাদ তাঁর মনে হয়েছিল ঠিক যেন তাঁর নিজের দেশের ডালগোনা টফির মতো!
পরে তিনি নিজের অভিজ্ঞতা বলেন দক্ষিণ কোরিয়ার টেলিভিশন শো-এ। সেখানে তারকারা নিজেদের পছন্দের রেসিপি নিয়ে আলোচনা করেন। সেখানে জং ইল উ-এর এপিসোডের পরেই বিশ্বে জনপ্রিয় হতে থাকে ডালগোনা কফির ট্রেন্ড।
ইদানীং করোনাভাইরাসের দাপটে ফের বিশ্ব জুড়ে ট্রেন্ড করছে ডালগোনা কফি বানানোর চ্যালেঞ্জ। সেলেব থেকে সাধারণ মানুষ, সবাই এই কফি বানিয়ে পোস্ট করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তবে সব ডালগোনা কফিতেই কিন্তু ‘ডালগোনা’ উপাদানটি থাকে না। দক্ষিণ কোরিয়ার হনিকম্ব টফি ক্যান্ডি মেশালে তবেই সেটা আসল ‘ডালগোনা কফি’ হবে।
কী ভাবে বানাবেন এই কফি? ইনস্ট্যান্ট কফি, চিনি এবং গরম জল সমপরিমাণে একসঙ্গে নিয়ে ফেটাতে হবে। যত ক্ষণ না পুরো মিশ্রণটি ক্রিমের মতো হচ্ছে, তত ক্ষণ ফেটিয়ে যেতে হবে। তার পর মেশাতে হবে ঠান্ডা দুধ। সাধারণত কফিপাউডার, কোকো, বিস্কুট বা মধু দিয়ে এর টপিং করা হয়।
কফি বিনস-এর বদলে ‘ডালগোনা’-র জন্য প্রয়োজন ইনস্ট্যান্ট কফি। কারণ তার ফলে এর উপরের অংশ ক্রিমের মতো ঘন হয়ে ফুলেফেঁপে ওঠে। (ছবি: শাটারস্টক ও ফেসবুক)