এই দুযোর্গের পরিস্থিতিতে বাড়তি সুরক্ষা নিতে কয়েকটি বিষয় মেনে চলুন। ছবি: সংগৃহীত
সোমবার মৌসম ভবনের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, পুরী থেকে ৬৮০ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে অশনি। অন্ধ্র উপকূল অর্থাৎ বিশাখাপত্তনাম থেকে তার দূরত্ব ৫৫০ কিলোমিটার। গত পাঁচ ঘণ্টায় নিজের গতিবেগ ঘণ্টায় আরও ৪ কিলোমিটার বাড়িয়ে নিয়েছে ‘অশনি’। উত্তর-পশ্চিমবঙ্গ বঙ্গোপসাগর বরাবর এখন ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে ঝড়টি। আপাতত ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ উত্তর-পূর্বমুখী হলেও মৌসম ভবন জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তর-পশ্চিমে অর্থাৎ ওড়িশা উপকূলের দিকে মুখ ফেরাবে ‘অশনি’। তবে কলকাতায় ঠিক কতটা প্রভাব পড়বে সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত আঁচ পাওয়া যায়নি। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত প্রবল নিম্নচাপের পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। তবু এই দুযোর্গের পরিস্থিতিতে বাড়তি সুরক্ষা নিতে কয়েকটি বিষয় মেনে চলুন।
১) রেডিয়ো, টিভি ও সংবাদপত্রে আবহাওয়ার সাম্প্রতিকতম খবরে নজরে রাখুন। আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকুন।
২) প্রবল নিম্নচাপের কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তীব্র। তাই আগে থেকেই মোবাইলে যথেষ্ট পরিমাণ চার্জ দিয়ে রাখুন। বিদ্যুৎ চলে গেলে রান্নাবান্নাও করতেও সমস্যা হতে পারে। তাই বাড়িতে কিছু শুকনো খাবার কিনে রাখুন। সঙ্গে রাখুন এমার্জেনন্সি আলো।
আগামী শুক্রবার পর্যন্ত প্রবল নিম্নচাপের পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। ছবি: সংগৃহীত
৩) ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই। দরকার না হলে বাড়িতেই থাকুন। একান্তই প্রয়োজন পড়লে জরুরি নথি ও মূল্যবান জিনিসপত্র সুরক্ষিত রাখুন।
৪) শুক্রবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সব জেলাতেই। আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসাবে জরুরি জিনিসপত্র, খাবার, ওষুধ, জল প্রস্তুত রাখুন। ধারালো কোনও জিনিস খোলা অবস্থায় ফেলে রাখবেন না।
৫) প্রবল ঝড় না হলেও ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সেই সময়ে যদি কোনও ভাবে বাইরে থাকেন তা হলে নিরাপদ কোনও জায়গায় আশ্রয় নিন। বৈদ্যুতিক স্তম্ভ, রাস্তায় পড়ে থাকা তার, ধারালো জিনিসের ব্যাপারে বাড়তি সতর্কতা মেনে চলুন।