ভুয়ো প্রতিষেধক শরীরে গেলে ফোলাভাব দেখা দেয়। জ্বরও হয়। ফাইল চিত্র
ভুয়ো প্রতিষেধক নিয়ে কপালে ভাঁজ প়ড়েছে চিকিৎসক-বিজ্ঞানীদের। টিকাকরণের গতি বাড়তে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এমনকি তারকারাও এই চক্রের থেকে রেহাই পাচ্ছে না। যেমন পাননি তৃণনূল সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। শুধু কলকাতা নয়, এমন ঘটেছে মুম্বইতেও। প্রায় ২০০০ জন ভুয়ো প্রতিষেধক পেয়েছেন বলে বম্বে হাইকোর্টে জানিয়েছে সে রাজ্যের পুলিশ। টিকাকরণ নিয়ে এমন গোলমাল আটকাতে উদ্যোগী হয়ে সরকার। কিন্তু চিন্তা তবু থেকেই যাচ্ছে। জানতে হবে, ভুয়ো প্রতিষেধক শরীরে ঢুকলে কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে?
ভুয়ো প্রতিষেধক পাওয়া নাগরিকদের বিশেষ নজরে রাখতে হবে। বম্বে হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারক জিএস কুলকর্নি এমনই নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত সেই নাগরিকদের কোনও শারীরিক অসুবিধার কথা জানা যায়নি। কলকাতা পুরসভাও চিহ্নিত করতে শুরু করেছে সে সব মানুষকে, যাঁরা মিমির সঙ্গে একই জায়গা থেকে টিকা নিয়েছেন। তবে চিকিৎসকেদের বক্তব্য, কী ধরনের শারীরিক ক্ষতি হতে পারে ভুয়ো প্রতিষেধকের জেরে, তা বুঝতে সময় লাগবে। তবে তা নির্ভর করবে কোন জিনিস দিয়ে সেই নকল প্রতিষেধক তৈরি হয়েছে, তার উপরে। যদি বিষাক্ত কিছু থেকে থাকে, তবে তার থেকে মৃত্যুও হতে পারে।
কিন্তু মৃত্যু যদি নাও হয়, আগামী সময়ে কী ক্ষতি করতে পারে তা শরীরের উপরে, বোঝা যাবে ধীরে ধীরে। অনেক ক্ষেত্রে ভুয়ো প্রতিষেধক শরীরে গেলে ফোলাভাব দেখা দেয়। জ্বরও হয়। অর্থাৎ, আসল প্রতিষেধকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মতোই হয়ে যায় বিষয়টি। তাই অনেকে ভুয়ো প্রতিষেধক নিয়েও টের পাচ্ছেন না। এটিই সবচেয়ে চিন্তার বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। প্রথমত এর জেরে অনেকেই সুরক্ষিত থাকা মিথ্যা ভরসা পাচ্ছেন। তা ছাড়াও, না জেনেই কেউ হয়তো কোভিড ছড়াবেন। যাঁর উপসর্গ নেই, তিনি তো আর সতর্ক হবেন না এর পরে।
সঙ্কট আরও আছে। একেই দেশের অনেকে প্রতিষেধক নিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন না, এর পরে তা আরও বাড়তে পারে।