ফের হতে পারে অতিমারি? ছবি: সংগৃহীত।
ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। ধীরে হলেও দেশে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। করোনা ভাইরাসের নতুন উপরূপ জেএন.১-এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় হঠাৎ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। শীতের শুরুতে করোনার নতুন করে মাথাচাড়া দেওয়ার ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে প়ড়েছেন অনেকেই। অতিমারি, লকডাউন, মৃত্যু, নিভৃতবাস— অতীতে কোভিডের ভয়ঙ্কর রূপ আবার ফিরে আসছে কি না, তা নিয়েও অনেকেই উদ্বিগ্ন। আর এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ’-এর প্রাক্তন বিজ্ঞানী ডক্টর রমণ গঙ্গাখেদকর বললেন, ‘‘ভয় না পেয়ে, কোভিডকে জীবনযাত্রার একটা অংশ হিসাবে ধরে নেওয়ার সময় এসেছে এ বার।’’
অতীতে অতিমারির সময়ে তিনি আইসিএমআর-এর অন্যতম প্রধান মুখ ছিলেন। সেই সময়ে অধুনা প্রাক্তন এই বিজ্ঞানী বলেছিলেন, ‘‘যত সময় যাবে, কোভিড তত বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর সক্রিয়তা কমতে থাকবে। একটা সময় আসবে যখন কোভিড নিয়ে আলাদা করে কোনও আতঙ্ক থাকবে না। ভাইরাস আমাদের সঙ্গেই বাস করে। শুধু কয়েক মাসের ব্যবধানে নতুন নতুন রূপ ধারণ করে। যত ক্ষণ না কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগী উপচে পড়ছে কিংবা একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে, তত ক্ষণ ভাবনার কিছু নেই।’’ তিনি বয়স্কদের উদ্দেশে পরামর্শ দিয়েছিলেন, কোভিড যদি জীবযাত্রার অঙ্গ হয়ে ওঠে, তা হলে বার্ধক্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি।
ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। ছবি: সংগৃহীত।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, করোনার নতুন উপরূপ সংক্রমণের ফলে মৃত্যুর আশঙ্কা প্রায় নেই বললেই চলে। তা ছাড়া, এই উপরূপটি আগের উপরূপের চেয়ে বেশি ক্ষতিকর নয় বলেও জানানো হয়েছে। কোভিডের প্রতিষেধক নিলে এর সংক্রমণের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা যাবে। তবে সাবধানের মার নেই। কারণ, এখনও পর্যন্ত সারা দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন মোট ছ’জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৯৪ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। খোদ শহর কলকাতায় বিভিন্ন হাসপাতালে মোট আট জন করোনা রোগীর চিকিৎসা চলছে। ফলে সাবধানে থাকা জররি। নতুন করে সব রকম কোভিড বিধি মেনে চলা প্রয়োজন। মাস্ক পরা থেকে স্যানিটাইজ়ারের ব্যবহার, নতুন করে শুরু করতে হবে। সেই সঙ্গে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং ভিড় এড়িয়ে চলার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।