দম্পতির কাণ্ড দেখে চোখ কপালে উঠেছে অনেকেরই গ্রাফিক: সনৎ সিংহ
বিবাহের দিনটিকে নির্দিষ্ট এক ভাবনার সূত্রে সাজিয়ে নেওয়ার প্রবণতা এখন খুব একটা বিরল নয়। অনেক দম্পতিই নিজেদের এই বিশেষ দিনটিকে সাজিয়ে নিতে চান মনের মতো করে। তাই বেছে নেন ‘থিম’ বিয়ে। কিন্তু তাই বলে নাৎসি আদবকায়দায় বিয়ে! মেক্সিকোর এক দম্পতির কাণ্ড দেখে চোখ কপালে উঠেছে অনেকেরই।
ফার্নান্দোর পরনে ছিল নাৎসি সামরিক পোশাক। ছবি: সংগৃহীত
মেক্সিকোর ট্লাসকালা প্রদেশে ফার্নান্দো ও জোসেফিনা নামে দুই তরুণ-তরুণী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন পুরোদস্তুর নাৎসি কায়দায়। ফার্নান্দোর পরনে ছিল নাৎসি সামরিক পোশাক। সাদা পোশাকের জোসেফিনা বসে ছিলেন নাৎসিদের স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা চল্লিশের দশকের একটি জার্মান গাড়িতে। শুধু বর-কনেই নন। বিয়ের অতিথিরাও সেজেছিলেন নাৎসিদের মতো। কিন্তু কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন ওই দম্পতি? ফার্নান্দোর বক্তব্য, তিনি ছোট থেকেই হিটলারের ভক্ত। ফার্নান্দো বলেন, ‘‘হিটলার নিরামিষাশী ছিলেন, তিনি দেশকে চূড়ান্ত দারিদ্র থেকে উদ্ধার করেছিলেন।’’ মানুষ হিটলারের আসল কাহিনি জানেন না বলেও অভিমত তাঁর। অন্য দিকে জোসেফিনা বলেছেন, ‘‘আমি অতশত ইতিহাস জানতাম না, কিন্তু আমার স্বামী খুবই দায়িত্ববান মানুষ, তাই স্ত্রী হিসেবে আমি তাঁকে সমর্থন করি।’’ হিটলারকে অনুসরণ করে বিয়ের মেনুও ছিল নিরামিষ।
গোটা ঘটনা সামনে আসতেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। মেক্সিকোর একাধিক ইহুদি সংগঠন প্রতিবাদও জানিয়েছে। অনেকে এই ঘটনা দেখে মনে করছেন, এখন ‘পোস্ট ট্রুথ’-এর জমানা। ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে সত্যের বিনির্মাণ করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অর্ধসত্য প্রচার করে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য প্রচ্ছন্ন ভাবে নাৎসি ও ফ্যাসিবাদের আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মানুষের মধ্যে। এই ঘটনা কেবল সেই ধারার প্রত্যক্ষ প্রকাশ মাত্র। ইতিহাসবিদরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, মিথ্যার থেকেও বেশি মারাত্মক অর্ধসত্য। তাই এই ধরনের প্রচার থেকে সতর্ক থাকাই বুদ্ধিমত্তার পরিচয়।
গোটা ঘটনা সামনে আসতেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।