প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
মঙ্গলবার, কেন্দ্রীয় সরকার ডেল্টা প্লাস প্রজাতিকে ‘ভ্যারিয়্যান্ট অফ কনসার্ন’এর আখ্যা দেয়। সহজ ভাষায় এর মানে, এতদিন এই প্রজাতি নিয়ে বিশেষ আশঙ্কা না থাকলেও, এবার দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই প্রজাতি। দেশে মোট ২২ জন আক্রান্ত ডেল্টা প্লাসে। মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশ এবং কেরল থেকে মিলেছে এই প্রজাতির প্রমাণ। সরকার এই তিন রাজ্যে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে। কিন্তু ডেল্টা প্লাস নিয়ে হঠাৎ কেন সকলে উদ্বিগ্ন? জেনে নিন।
১। ভারতের ডেল্টা প্রজাতি (বি.১.৬১৭.২) নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা দুনিয়া। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই ডেল্টা প্রজাতিকে এই মুহূর্তের সবচেয়ে মারাত্মক প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ডেল্টা থেকেই ভাইরাস রূপ বদলে তৈরি হয়েছে ডেল্টা প্লাস। তাই এই প্রজাতি নিয়ে ভ্রুকুটি পড়েছে সরকারের নানা মহলে। যে তিন রাজ্যে ডেল্টা প্রজাতির প্রমাণ মিলেছে, সেখানে সরকার নজরদারী বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে। জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা, ছোট ছোট এলাকায় মানুষের মেলামেশা সীমিত রাখা এবং বিপুল পরিমাণে কোভিড পরীক্ষা করানোর উপদেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন প্রজাতি যাতে কোনও ভাবেই বেশি সংখ্যায় মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে না পড়তে পারে, তার সব রকম ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে।
২। দেশের মোট ২৮টা ল্যাবরেটরির একটি দল জানিয়েছে, ডেল্টা প্লাস প্রজাতি অনেক বেশি সংক্রামক হতে পারে। অনেক দ্রুত আরও বেশি সংখ্যায় মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে এই নতুন প্রজাতির গবেষণায়, বলে জানিয়েছে তারা।
৩। ডেল্টা প্লাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করে আরও দ্রুত ফুসফুস আক্রমণ করতে পারে বলেও জানা গিয়েছে। যে কোষগুলি ফুসফুসের চারপাশে ঘিরে রয়েছে, তার বাঁধুনি আরও দ্রুত ভেঙে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে, জানিয়েছে সেই দল।
৪। মোনোক্লানাল অ্যান্টিবডি ককটেল খুব একটা কার্যকরী নয় এই নতুন প্রজাতির ক্ষেত্রে। তাই ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত হলে শরীরে বেশি মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
৫। জাপান, সুইৎজারল্যান্ড, ব্রিটেন, আমেরিকা সহ মোট ৯টি দেশে ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে ডেল্টা প্লাসের প্রমাণ। এখনও পর্যন্ত বাজারে যে কোভিড প্রতিষেধকগুলি পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো এই প্রজাতির উপর কতটা কার্যকরী তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বহু বিজ্ঞানী। তবে গবেষণা এখনও চলছে, তাই কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি।