৮০ শতাংশ করোনা রোগীর উপসর্গ হাল্কা সংক্রমণের। নিভৃতবাসে থেকে, ভাল ভাবে খাওয়াদাওয়া করে সেরে উঠছেন তাঁরা। ফাইল চিত্র
করোনার উপসর্গ নিয়ে মাঝেমাঝেই চিন্তা বাড়ছে। সাধারণ সর্দি-জ্বর কিংবা পেটের গোলমাল হলেও কি পরীক্ষা করানো প্রয়োজন? এমন কথা সর্বক্ষণ মনে হচ্ছে। কোনটা সাধারণ জ্বর আর কোনটা করোনা? এ সব ভেবে নাজেহাল সকলেই। তার উপরে আবার হাল্কা উপসর্গ আর গুরুতর উপসর্গের মধ্যে পার্থক্য বুঝে পদক্ষেপ করতে পরামর্শ দিচ্ছেন অনেকে। এমন সময়ে জেনে রাখা জরুরি, এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য কী?
দেশে ৮০ শতাংশ করোনা রোগীর উপসর্গ হাল্কা সংক্রমণের। বাড়িতে নিভৃতবাসে থেকে, ভাল ভাবে খাওয়াদাওয়া করলেই সেরে ওঠা সম্ভব। হাল্কা জ্বর, শুকনো কাশি, ক্লান্তি, মাথা ব্যথা, স্বাদ-গন্ধ অনুভব না করার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। এ ছাড়া, গলায় অস্বস্তি, সর্দিও দেখা দিচ্ছে কারও কারও ক্ষেত্রে।
যাঁদের জ্বর বাড়ছে, তাঁদের মাঝারি ধরনের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। একশোর উপরে জ্বরের সঙ্গে গায়ে ব্যথা, অতিরিক্ত ক্লান্তি এবং ঘন ঘন কাশির দমক থাকছে।
মাঝারি উপসর্গ থেকে গুরুতরতেও চলে যাচ্ছে অনেক রোগীর শারীরিক অবস্থা। তখন তাঁদের অনেকের মধ্যে শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে। এর সঙ্গে বুকে চাপ, আচ্ছন্ন ভাব, কথা বলতে বা বুঝতে না পারার মতো সমস্যাও হচ্ছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে শরীরে কোন উপসর্গ দেখা দেবে, তার অনেকটাই নির্ভর করে বয়স, প্রতিরোধশক্তি ও সামগ্রিক শারীরিক অবস্থার উপরে। তবে মাঝারি বা গুরুতর উপসর্গ দেখা দিলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা জরুরি।