প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
বাড়িতে কোভিড রোগী থাকলে তাঁর সঙ্গে সুস্থ কোনও প্রাপ্তবয়স্ক কেয়ারগিভার থাকা আবশ্যিক। তিনি পরিবারের সদস্য হতে পারেন, আবার কোনও স্বেচ্ছাসেবীও হতে পারেন। কোভি়ড-রোগীদের খেয়াল রাখতে গিয়ে বেশির ভাগ মানুষ এত ব্যস্ত হয়ে পড়েন যে, নিজের খেয়াল রাখার কথা আর মাথায় থাকে না। কিন্তু কেয়ারগিভার হিসেবে আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম মেনে নিজের যত্ন নিতে হবে। কারণ আপনি অসুস্থ হয়ে পড়লে, সেটা আপনার আর রোগীর, কারুর পক্ষেই ভাল হবে না। কোন নিয়মগুলি আপনাকে মানতে হবে জেনে নিন।
১। কোনও কোভিড রোগীর দেখাশোনা করলে আপনাকেও নিভৃতবাসে থাকতে হবে। রোগীর সব উপসর্গ মিলিয়ে যাওয়ার অন্তত ৭ দিন পর বাড়িতে থেকে বেরতে পারেন।
২। রোগীর সঙ্গে এক ঘরে থাকা যাবে না। বা এক ঘরে বসে খাওয়া দাওয়ার করা যাবে না। এক বাথরুমও ব্যবহার না করলে ভাল। আলাদা ঘর না থাকলে আলো-হাওয়া যেন ভাল ভাবে খেলতে পারে, সে দিকে নজর দিন। এক বাথরুম ব্যবহার করলে সব কিছু স্যানিটাইজ করে করতে হবে।
৩। রোগীর ঘরে ঢুকলে রোগীকে মাস্ক পরতে বলুন। এবং নিজেও দু’টো মাস্ক পরে থাকুন। তবে সার্জিক্যাল মাস্ক পর এবং মাস্ক ভিজে নোংরা হয়ে গেলে ফেলে নতুন মাস্ক পরাই ভাল।
৪। রোগীর গায়ে হাত দিলে বা তাঁর ব্যবহৃত কোনও জিনিস ধরলে সঙ্গে সঙ্গে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে। নিজের হাঁচলে বা কাশলে মুখ চাপা দিন।
৫। রোগীর দরজার বাইরে খাবার রেখে দিন। ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া যায় এমন বাসনে খেতে দিন। যদি তা সম্ভব না হয়, তা হলে রোগীর ব্যবহৃত বাসন গরমে জলে ধুতে হবে। ধোওয়ার সময় মাস্ক পরতে হবে।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
৬। রোগীর ব্যবহৃত যে কোনও জিনিস মাঝে মাঝেই স্যানিটাইজ করতে হবে। দরজা, সুইচবোর্ড, মোবাইল ফোন ইত্যাদি।
৮। নিজে খাওয়ার আগে ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। মাঝে মাঝেই হাত স্যানিটাইজ করবেন। চোখে মুখে হাত দেওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন।
৯। নিজের খাওয়া-দাওয়া অবহেলা করবেন না। পুষ্টিকর খাবার, প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। প্রয়োজনে আপনিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মাল্টি ভিটামিন এবং জিঙ্কের ওষুধ খেতে পারেন।
১০। নিজের শরীর নিয়ে সচেতন থাকুন। আপনার কোনও উপসর্গ দেখা যাচ্ছে কি না সে দিকে নজর রাখুন। মাঝে মাঝে জ্বর আছে কি না দেখে নিতে হবে। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাও মাঝে মাঝে মেপে দেখতে হবে।