বাজারে গিয়ে অনেক দোকানে অযথা ঘোরাঘুরি করবেন না। ছবি: সংগৃহিত
আজ ভাল মাছ পাওয়া গেল না, কাল আবার দেখতে হবে— এভাবেই বাজার করার অভ্যাস বাঙালির। কিন্তু সে সব বিলাসিতা কোভিড-পরিস্থিতিতে অচল। রাজ্যে কার্যত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল ১৫ জুন পর্যন্ত। প্রত্যেকদিন কয়েক ঘণ্টা করে খোলা থাকবে বাজার। তাই ভিড়ও হবে প্রচন্ড। তাতে রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনাও প্রবল বেড়ে যায়। তাই বাজারে যাওয়ার আগে কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।
সপ্তাহে একদিন
রোজ বাজারে যাবেন না। এক সপ্তাহের বাজার মোটামুটি একসঙ্গে করে নিন। বাড়ি থেকে বেরনোর আগে একটা তালিকা তৈরি করে নেবেন, কী কী প্রয়োজন। সেই মতো বাজার করুন।
বেশি কিনবেন না
চাল, ডাল, বিস্কুট, মশলার মতো শুকনো খাবার কেনার সময় বাকিদের কথাও একটু মাথায় রাখবেন। একসঙ্গে অনেক জিনিস কিনে বাকিদের অসুবিধায় ফেলবেন না। তাঁদেরও জরুরি জিনিস কেনার সুযোগ দিন।
বেশি দোকানে নয়
সপ্তাহে একদিন বেরলেও খেয়াল রাখবেন যেন একসঙ্গে বহু জায়গায় না যেতে হয়। ওষুধের দোকান, সব্জি বাজার আর মাছ-মাংস ছাড়া অন্য কিছু কেনার এখন কতটা প্রয়োজন, সেটা যাচাই করে দেখুন। অনেক দোকান ঘুরে সব্জি কেনার চেয়ে একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে সম্পূর্ণ বাজার সেরে ফেলুন। যত বেশি জায়গায় যাবেন, তত বেশি মানুষের কাছাকাছি যেতে হবে। এবং সংক্রমণের সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে।
স্যানিটাইজার-মাস্ক
বাজারে যাওয়ার সময় অবশ্যই সব রকম কোভিড-সতর্কটা অবলম্বন করতে হবে। হয় এন-৯৫ মাস্ক, নয় দু’টো মাস্ক (সার্জিক্যালের উপর কাপড়ের) প়ড়ুন। সঙ্গে স্যানিটাইজার রাখবেন। কোনও জিনিস হাত দেওয়ার পর বা টাকা নেওয়ার পর হাতে স্যানিটাইজার লাগান। যদি কার্ডের মাধ্যমে দাম মেটান, তা হলে পিন নম্বর দেওয়ার পর হাত স্যানিটাইজ করুন।
সামাজিক দূরত্ব
বাজারে গিয়ে চেনা পরিচিতদের সঙ্গে আলাপচারিতা করার সময় এখন নয়। সব সময় বাকিদের চেয়ে ২ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন। চেনা মানুষদের সঙ্গে আড্ডা মারতে হলে তাঁদের ফোন বা ভিডিয়ো কল করুন। বাজারে দাঁড়িয়ে ভিড় বাড়িয়ে আড্ডা মারবেন না।
অনলাইন অর্ডার
যতটা সম্ভব হয়, অনলাইনে অর্ডার দেওয়ার চেষ্টা করুন। এই সময় বাড়ি থেকে যত কম বেরনো যায়, তত ভাল। জিনিস বাড়িতে পৌঁছলে, তা নেওয়ার পর হাত ভাল করে সাবান দিয়ে ধুয়ে নেবেন।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ