পদ সঞ্চালনাসন। অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ।
পদ সঞ্চালনাসন
সাইক্লিং করার ভঙ্গিমায় একটি অত্যন্ত উপভোগ্য আসন।
শোওয়া অবস্থায় পায়ের সঞ্চালন পেট, মেরুদণ্ডের নিচের দিক ও পায়ের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সামগ্রিক ভাবে নমনীয়তা বাড়ায় এবং নিয়মিত যোগাসন অভ্যাসের একটি মজবুত ভিত্তি তৈরি করে।
কী ভাবে করব
পা সোজা করে ম্যাটের উপর টানটান হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত থাকুক পাশে, হাতের তালু যেন মাটির দিকে থাকে। এটি শুরুর ভঙ্গিমা। এই অবস্থানে চোখ বন্ধ করে কয়েক মিনিট আরাম করুন।
বাম পা মাটিতে সোজা করে রেখে ডান পা হাঁটু থেকে ভাঁজ করে বুকের কাছে আনুন।
এবারে বুকের কাছ থেকে পা সোজা করে উপরের দিকে তুলুন।
কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ডান পা মাটির কাছাকাছি নামান। তবে লক্ষ রাখবেন, গোড়ালি যেন মাটি স্পর্শ না করে।
কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আবার ডান পায়ের হাঁটু ভাঁজ করে বুকের কাছে নিয়ে আসুন, একবারের সাইক্লিং মুভমেন্ট শেষ হল।
আরও পড়ুন: কোভিড চিকিৎসায় নয়া দিশা স্টেম সেল থেরাপি, কী এই উপায়, কতটা কার্যকর?
এই ভাবে ৫–৭ বার ডান পায়ের সাইক্লিং মুভমেন্ট অভ্যাস করতে হবে। এক্সারসাইজ করার সময় শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন।
এক পায়ে সাইকেল প্যাডেল করার সময় যেভাবে পা চালানো হয়, সেই ভাবেই পায়ের সঞ্চালন হবে।
এবারে আবার ডান পা উপরে তুলে বিপরীত দিকে প্যাডেল ঘোরানোর মতো করে পা ঘোরাতে হবে। ৫–৭ বার এই রিভার্স সাইক্লিং অভ্যাস করুন।
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ড ও ইম্পিরিয়ালের তৈরি করোনা-টিকার ফারাক কোথায়?
এবারে ডান পা মাটিতে রেখে শুরুর অবস্থানে ফিরে এসে মিনিট খানেক বিশ্রাম নিন।
একই পদ্ধতিতে বাম পা ভাঁজ করে বুকের কাছে এনে ও ডান পা সোজা রেখে সাইক্লিং অভ্যাস করুন ৫-৭ বার।
বাম পায়ে রিভার্স সাইক্লিং করতে হবে ৫–৭ বার। শুরুর অবস্থানে ফিরে বিশ্রাম নিন।
এইবার দুই পা ভাঁজ করে সাইকেল চালানোর ভঙ্গিতে পা ঘোরান ৫–৭ বার।
বিশ্রাম নিয়ে উল্টোদিকে সাইকেল চালানোর মতো করে দু’পা চালান ও বিশ্রাম নিন। সম্পূর্ণ এক্সারসাইজ করার সময় স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে হবে।
মনে রাখবেন
আসন অভ্যাসের সময় কোনও স্ট্রেস নেবেন না। হার্টের অসুখ, অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ, সায়টিকা, স্লিপ ডিস্ক ইত্যাদির মতো অসুস্থতা থাকলে পদ সঞ্চালনাসন করবেন না। শুরুতে এই আসনটি জটিল মনে হতে পারে। কিন্তু মাথায় রাখবেন সাইকেলের প্যাডেল চালানোর কথা, তাহলে আর সমস্যা হবে না।
কেন করব
যে কোনও পায়ের এক্সারসাইজ ও আসন স্ট্যামিনা বাড়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। নিয়মিত এই আসন অভ্যাসে হাঁটু, নিতম্ব, পিঠের নিচের দিকের ও কোমর-সহ পেটের সমস্ত পেশি টানটান হয়। ফলে হজম শক্তি বাড়ে এবং মেরুদণ্ডের সংলগ্ন পেশিরও ব্যায়াম হয়। নিয়মিত অভ্যাস করলে রোজকার জীবনে নানান কাজকর্মে অফুরান শক্তি ও উৎসাহ বাড়বে।