গ্রীবা সঞ্চালন। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
গ্রীবা সঞ্চালন (অন্য ভঙ্গিমায়)
আমাদের শরীরের এক অত্যাশ্চর্য অঙ্গ ঘাড়। কিন্তু একে খুব কঠিন দায়িত্ব পালন করতে হয়। প্রায় চার কেজি ওজনের মাথাকে ধরে রাখতে সাহায্য করার পাশাপাশি আরও নানা শারীরিক কাজকর্মে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় এটি।
ঘাড় থেকেই শিরদাঁড়া ও সুষুম্নাকাণ্ড অর্থাৎ স্পাইনাল কর্ড শুরু। হাড়, পেশী, স্নায়ু, লিগামেন্ট ও টেন্ডন দিয়ে গঠিত ঘাড় অত্যন্ত নমনীয় এবং প্রয়োজন মতো নড়াচড়া করানো যায়।
কী ভাবে
ম্যাটের উপর পা মুড়ে, মেরুদণ্ড সোজা করে বসুন। ঘাড়-মাথা যেন সোজা থাকে। ইচ্ছে হলে চেয়ারেও পা ঝুলিয়েও সোজা হয়ে বসতে পারেন। তবে হেলান দেবেন না। মাথা, ঘাড়, পিঠ টানটান রাখুন। চোখ বন্ধ করে রিল্যাক্স করে ধীরে ধীরে শ্বাসপ্রশ্বাস নিন। এ বার চোখ খুলুন।
আরও পড়ুন: ২৭তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস
সামনে-পিছনে ঘাড় হেলানো: সামনের দিকে মাথা ঝুঁকিয়ে চিবুক বুকে ঠেকান। এই অবস্থায় কয়েক সেকেন্ড থাকুন। এ বার ঘাড় সোজা করে আগের অবস্থানে ফিরুন। এর পর শিরদাঁড়া সোজা রেখে পিছনে ঘাড় হেলিয়ে কয়েক সেকেন্ড থাকুন। এক রাউন্ড সম্পূর্ণ হল। এই ভাবে ৫–৭ রাউন্ড অভ্যাস করতে হবে। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে হবে।
পাশে ঘাড় হেলানো: সোজা হয়ে বসে সামনের দিকে তাকান। এ বার ধীরে ধীরে ডান দিকে ঘাড় ঘোরান। কাঁধ যেন সোজা থাকে। এই অবস্থানে কয়েক সেকেন্ড থাকুন। ঘাড় ও কাঁধে টান অনুভব করবেন। এ বার ধীরে ধীরে বাম দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে কয়েক সেকেন্ড থেকে শুরুর অবস্থানে ফিরে আসুন। এক রাউন্ড সম্পূর্ণ হল, ৫–৭ রাউন্ড অভ্যাস করুন।
আরও পড়ুন: ২৬তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস
সতর্কতা: ঘাড় অত্যন্ত সংবেদনশীল। তাই সামনে পিছনে বা পাশে ঘোরানোর সময় ঝটকা দেবেন না অথবা তাড়াহুড়ো করবেন না। মসৃণ ভাবে অভ্যাস করুন। ঘাড় ঘোরানোর সময় ঘাড়ে টান অনুভব করবেন। কিন্তু যদি ব্যথা হয়, অবিলম্বে ব্যায়াম বন্ধ করুন। দরকার হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যাঁদের রক্তচাপজনিত সমস্যা আছে, সার্ভাইকাল স্পন্ডাইলোসিস, ভার্টিগো এবং মাথা ঘোরার অসুখ আছে তাঁরা এই এক্সারসাইজ করার আগে চিকিৎসককে জিজ্ঞাসা করে নিন।
কেন করব?
কমবেশি অনেকেই ঘাড়ের ব্যথায় কষ্ট পান। ব্যাপারটা মোটেও স্বাভাবিক নয়। চোট আঘাত, ভুল ভঙ্গিমা, হাড়ের গঠনের সমস্যা বা পেশীতে আচমকা টান লাগলে ঘাড় ব্যথা হয়। কাজের ফাঁকে ঘাড়ের স্ট্রেচিং করে নিলে ভাল হয়। ঘাড়ের মধ্যে দিয়েই সুষুম্নাকাণ্ড মস্তিষ্ক হয়ে শিরদাঁড়াতে যায়। মস্তিষ্ক থেকে পাওয়া সিগন্যালের সাহায্যে আমরা দৈনন্দিন কাজকর্ম, হাঁটাচলা করি। তাই ঘাড়ের পেশী ক্লান্ত হয়ে পড়ে। গ্রীবা সঞ্চালন আসন নিয়মিত অভ্যাস করলে স্বাভাবিক ও তরতাজা ভাব অনুভব করতে পারবেন।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)