জেষ্ঠ্যিকাসন। অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ।
জেষ্ঠ্যিকাসন
সংস্কৃত শব্দ ‘জেষ্ঠ্য’-র অর্থ ‘অগ্রজ’ বা ‘উচ্চ পর্যায়’। এই আসনটি আদতে তাই। অত্যন্ত সরল এই আসনটি সকলের জন্যই উপযোগী এবং নানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
কী ভাবে করব?
• ম্যাটের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। পেট ও কপাল মাটিতে ঠেকে থাকবে এবং পা রাখুন সোজা ও টানটান।
• ঘাড়ের উপরের দিকে দুই হাতের তালু এনে আঙুল ইন্টারলক করে রাখুন। দুই হাতের কনুই থাকুক মাটিতে ঠেকানো।
• এই অবস্থানে শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এমন ভাবে শিথিল করুন যেন শরীরে কোনও বাড়তি চাপ না পড়ে। আরামদায়ক ভাবে বিশ্রাম নিন।
• এ বার একটি নির্দিষ্ট ছন্দে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন।
• হাতের তালুর উষ্ণতা অনুভব করলে ঘাড়ে মৃদু চাপ দিন।
• হাতের উষ্ণতা ও চাপে শরীর ও মনের যাবতীয় ক্লান্তি ও উদ্বেগ চলে গিয়ে শান্ত ভাব অনুভব করুন। এই অবস্থানে ৩–৫ মিনিট উদ্বেগহীন ভাবে শুয়ে থাকুন।
• ঘাড়ের পিছনে হাত না রেখে কপালের নীচেও দু’হাতের চেটো ইন্টারলক অবস্থায় রাখতে পারে। যে ভঙ্গি আরামদায়ক ও সুবিধাজনক মনে হবে সেটিকে বেছে নিন।
আরও পড়ুন: ৩৭তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস
কেন করব?
সার্ভাইকাল স্পন্ডাইলোসিস-সহ মেরুদণ্ডের যে কোনও সমস্যায় এই আসনটি অত্যন্ত উপকারী। ছন্দোবদ্ধ শ্বাস-প্রশ্বাস, নাগাড়ে করতলের মৃদু চাপের ফলে ম্যাসাজ করার ফল অনুভূত হয়। এর ফলে ক্লান্তি চলে গিয়ে পুনরুজ্জীবিত হওয়া যায়। মাটিতে কপাল ঠেকিয়ে নির্দিষ্ট ছন্দে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ায় ক্লান্তি ও মানসিক চাপ কমে যায়। যে কোনও পরিশ্রমসাধ্য আসন ও পিছন দিকে হেলে আসন করার পর এই আসনটি অভ্যাস করলে আরাম বোধ হয়। নিয়মিত আসন অভ্যাস করে সুস্থ থাকুন।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)