চেয়ার যোগ–সিটেড ভি ব্রিদ অর্থাৎ চেয়ারে সোজা হয়ে বসে শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের আসন। অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ।
চেয়ার যোগ–সিটেড ভি ব্রিদ অর্থাৎ চেয়ারে সোজা হয়ে বসে শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের আসন
শ্বাস প্রশ্বাস আমাদের জীবনের স্বাভাবিক ধর্ম। রোজকার জীবনের স্ট্রেস ও দূষণের জন্য স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস কিছুটা প্রভাবিত হয়। শ্বাস নিয়ন্ত্রণের আসন বা প্রাণায়াম শ্বাসপ্রশ্বাস ঠিক রাখতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে মনকেও একাগ্র করতে সাহায্য করে। যোগাসন অভ্যাসের আগে ও পরে শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের আসন অভ্যাস করলে ভাল হয়।
কী ভাবে করব
• মেরুদণ্ড টানটান করে চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন। লক্ষ্য রাখবেন ঘাড়, পিঠ ও মাথা যেন একই সরলরেখায় থাকে। দুই হাত থাকুক কোলের ওপর নমস্কারের ভঙ্গিতে। চোখ বন্ধ করে শান্ত হয়ে বসুন। এটিই হল আসন শুরুর অবস্থান।
• এ বারে মন শান্ত করে স্থির হয়ে বসুন। নিঃশব্দে স্বাভাবিক ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিন। এই অবস্থানে থেকে নাকের দিকে মন আনতে হবে। এ বারে একাগ্র চিত্তে দুই ভ্রুর মাঝখানে নাকের ওপরের দিকে মন দিন।
• এই অবস্থানে স্বাভাবিক শ্বাস নিন। শ্বাস ছাড়ার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে শ্বাসবায়ু যেন নাকের ওপরের দিকে ভ্রুর কাছে পৌঁছয়।
• পড়তে সহজ লাগলেও ব্যাপারটা মোটেও সহজ নয়। ধীরে ধীরে অভ্যাস করতে করতে রপ্ত হবে।
• মনে রাখবেন গভীর ভাবে নয়, শ্বাস প্রশ্বাস নেবেন স্বাভাবিক ভাবে। কী ভাবে শ্বাস প্রশ্বাস পড়ছে, সে দিকেই শুধুমাত্র খেয়াল রাখতে হবে। জোর করে শ্বাস নেওয়ার বা ছাড়ার কোনও দরকার নেই। এই আসনের লক্ষ্য হল রিল্যাক্স অবস্থায় শ্বাসের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা।
• খেয়াল করলে উপলব্ধি করতে পারবেন যে, আপনার নিঃশ্বাস ভি-এর আকারে ভ্রুর দিকে উঠছে। এ বারে শ্বাস টানা ও ছাড়ার সময় ১, ২ করে ২০ পর্যন্ত গুনতে হবে। মনে করলে এর থেকে বেশি সময় ধরেও এই শ্বাসের আসন অভ্যাস করতে পারেন।
• আসন শেষ হলে চোখ বন্ধ করে বসে অনুভব করুন কেমন বোধ করছেন। ধীরে ধীরে চোখ খুলে স্ট্রেচিং করে উঠে পড়ুন।
আরও পড়ুন: ৯৭তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস
কেন করব
নিয়ম করে ভি ব্রিদ অভ্যাস করলে রোজকার জীবনের স্ট্রেস ও টেনশন কমে। মন শান্ত থাকে ও একগ্রতা বাড়ে। এই শ্বাসের আসনটি ধ্যানের একটি রূপ। শাস্ত্র অনুযায়ী দুই ভ্রুর মাঝখানে থাকে তৃতীয় নয়ন। আরও সহজ ভাবে বললে বলা যায়, তৃতীয় নয়ন আসলে জ্ঞানচক্ষু। বুদ্ধি, একাগ্রতা, মনন এবং স্মরণ, এ সবের উৎসস্থল দুই ভ্রুর মাঝের অংশ। ভি ব্রিদ টেনশন, স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে, স্মরণশক্তি বাড়ে। একই সঙ্গে মস্তিষ্কের ডান ও বাম দিকের সঙ্গে সাযুজ্য রক্ষা করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: ৯৮তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস