Lifestyle Section

সংক্রমণের সম্ভাবনা সব থেকে বেশি প্রবীণ নাগরিকদের, জেনে নিন কোন কোন সতর্কতা জরুরি

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২০ ১১:৩১
Share:

বাড়ির প্রবীণ নাগরিকদের দিকে এখন নজর রাখতে হবে সর্বাগ্রে। ছবি শাটারস্টকের সৌজন্যে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে ভারতে, গোটা বিশ্বে। উত্তরোত্তর বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। সংক্রমণ রুখতে দেশের রাজ্যে রাজ্যে চলছে লকডাউন। চলবে আরও অন্তত সপ্তাহদু’য়েক। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সতর্ক হতে হবে প্রবীণ নাগরিকদের। গৃহবন্দি হয়ে থাকার সময়ে তাঁদের দিকেই সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে। কারণ, কমবয়সীদের তুলনায় প্রবীণ নাগরিকরাই করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন বেশি।

Advertisement

এই সময় সেই সব প্রবীণ নাগরিকের উপর নজর রাখার প্রয়োজন আরও বেশি, যাঁরা বিশেষ করে দীর্ঘ দিন ধরে ভুগছেন ডায়াবিটিস, হাঁপানি, নানা ধরনের হৃদরোগে বা কিডনির অসুখে। কারণ, তাঁদের ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি। তাঁদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্য প্রবীণ নাগরিকদের চেয়ে কম বলে।

চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস জানাচ্ছেন, এই সময় খুব কড়া নজরে রাখতে হবে বাড়ির প্রবীণদের। তাঁদের বাড়ির বাইরে বেরতে না দেওয়াই উচিত। তবে যদি বাজার বা ওষুধের দোকানে তাঁদের যেতেই হয়, তা হলে তাঁদের অবশ্যই মাস্ক পরে বেরতে হবে। তা ছাড়াও, যে সব প্রবীণ নাগরিক দীর্ঘ দিন ধরে ভুগছেন ডায়াবিটিস, হাঁপানি, নানা ধরনের হৃদরোগে বা কিডনির অসুখে, ডাক্তার তাঁদের যা যা ওষুধ খেতে বলেছেন, আর তার জন্য যে ‘ডোসেজ’ বেঁধে দিয়েছেন, এই কঠিন সময় তাঁদের নিয়মিত ভাবে সেই সব ওষুধ খেয়ে যেতে হবে। একেবারে প্রেসক্রিপশন মেনে। ওষুধগুলি যে সময় অন্তর খেতে বলা হয়েছে, আক্ষরিক অর্থেই সেই ভাবে খেয়ে যেতে হবে। কোনও ব্যতিক্রম ঘটলেই তাঁদের দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা আর দুর্বন হয়ে পড়বে। ফলে, করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা তাঁদের ক্ষেত্রে আরও বেড়ে যাবে।

Advertisement

আরও পড়ুন- চশমা, মোবাইল, বাজারের থলে থেকেও হতে পারে করোনা সংক্রমণ, সাবধান হোন!

আরও পড়ুন- করোনা থেকে বাঁচতে শুধু নিজের সুরক্ষাই নয়, নিশ্চিত করতে হবে বাড়ির পরিচ্ছন্নতাও

শুধু তাই নয়, বাড়ির প্রবীণ নাগরিকদের এখন সর্বাগ্রে প্রয়োজন সুস্থ থাকা, সুস্থ রাখা। সে জন্য যতটা সম্ভব মশলাপাতি কম থাকা খাবারদাবার তাঁদের দিতে হবে। যাতে হজমের গন্ডগোল না হয়। কোনও ভাবে তাঁদের পেটের অসুখ না হতে পারে। তাঁদের যে ডিশ, প্লেট, বাটিতে খাবার দেওয়া হবে, তা খুব ভাল ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তাঁদের গ্লাসও ধুয়ে নিতে হবে ভাল ভাবে। সেগুলি ভাল ভাবে মুছেও নিতে হবে।

অরিন্দম বলছেন, ‘‘এরই সঙ্গে প্রচুর জল খেতে হবে প্রবীণ নাগরিকদের। দিনে অন্তত ৩ থেকে ৪ লিটার। এটা বাধ্যতামূলক। এই পরিমাণে জল খেলে তাঁদের প্রস্রাব ও মলত্যাগের অসুবিধা থাকবে না। দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে কর্মক্ষম ও সক্রিয় রাখার জন্য রোজ এই পরিমাণ জল খেতে হবে প্রবীণদের।’’

চিকিৎসকেরা এও জানিয়েছেন, এই সময় বাইরের লোকজন, আত্মীয়স্বজন, এমনকী, পরিচারক, পরিচারিকাদের থেকেও দূরে থাকতে হবে বাড়ির প্রবীণদের। যেহেতু প্রবীণদেরই সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি, তাই বাইরের লোকজনের থেকে তাঁদের দূরে রাখাটাই সর্বাগ্রে প্রয়োজন।

অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement