corona virus

করোনা আতঙ্কেও কাজে? কী ভাবে সুস্থ থাকবেন সাংবাদিকরা, জেনে নিন

সবসময় সঙ্গে রাখুন হ্যান্ড স্যানিটাইজার। তবে সুযোগ পেলে ব্যবহার করুন সাবান আর জল। সাবান এবং জলে কুড়ি সেকেন্ড হাত পরিষ্কার করা স্যানিটাইজারের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর। সাবান বা স্যানিটাইজার না থাকলে কাজে লাগান ওয়েট ওয়াইপস। খেয়াল রাখুন স্যানিটাইজারের ৭০ শতাংশ যেন অ্যালকোহল হয়। হাতের সঙ্গে পরিষ্কার রাখুন নিজের মোবাইলকেও।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২০ ১৪:৫৪
Share:
০১ ১২

বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাসের মৃত্যুমিছিলের মধ্যেও কাজ করে যেতে হবে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের। তাঁদের মধ্যে অন্যতম সাংবাদিকরা। অশনি-সঙ্কেতের তীব্রতার মধ্যেও কী করে নিজেদের সুস্থ রাখবেন তাঁরা? বিশেষ করে রিপোর্টাররা? কাজের ব্যস্ততার মাঝেই এক বার চোখ রাখুন কিছু বিধিতে। জেনে নিন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি।

০২ ১২

সংবাদপত্র, বৈদ্যুতিন মাধ্যম থেকে ডিজিটাল মাধ্যম। যে কোনও গণমাধ্যমেই ঘটনাস্থল থেকে সংবাদ পরিবেশন করতে হয় রিপোর্টারদের। তাঁদের ক্ষেত্রে সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক বেশি। চিকিৎসক সুমিত সেনগুপ্তর মতে, সেক্ষেত্রে একে অন্যের থেকে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। সবথেকে ভাল হয় যদি ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা যায়।

Advertisement
০৩ ১২

কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের এই দূরত্ব বজায় রাখা বেশিরভাগ সময়েই সম্ভব হয় না। চিকিৎসকের মতে, তাই সেক্ষেত্রে মাস্ক পরতে পারেন। পরার আগে এবং পরে পরিষ্কার করে নেবেন। একই মাস্ক বেশি ক্ষণ পরে থাকবেন না। ক্রমাগত কথা বলতে বলতে ভিজে গেলেই বদলে ফেলুন। তবে পুরনো মাস্ক খোলা বা নতুন মাস্ক পরা, কোনও সময়েই মাস্কে হাত দেবেন না। ইলাস্টিক ধরে মাস্ক খুলবেন এবং পরবেন।

০৪ ১২

চিকিৎসক সেনগুপ্তর মতে, মাস্কের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল হাত পরিষ্কার রাখা। এবং, যখনতখন অপরিষ্কার হাত চোখেমুখে না দেওয়া। সেটা খুবই কঠিন কাজ। কারণ মানুষ সহজাত প্রবণতাতেই মুখে হাত দিয়ে ফেলে। তাই কার্যত মনে মনে আওড়াতে হবে, মুখে হাত দেওয়া চলবে না।

০৫ ১২

সবসময় সঙ্গে রাখুন হ্যান্ড স্যানিটাইজার। তবে সুযোগ পেলে ব্যবহার করুন সাবান আর জল। সাবান এবং জলে কুড়ি সেকেন্ড হাত ধোয়া স্যানিটাইজারের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর। সাবান বা স্যানিটাইজার না থাকলে কাজে লাগান ওয়েট ওয়াইপস। খেয়াল রাখুন স্যানিটাইজারের ৭০ শতাংশ যেন অ্যালকোহল হয়। হাতের সঙ্গে পরিষ্কার রাখুন নিজের মোবাইলকেও।

০৬ ১২

কলম থেকে শুরু করে মাইক্রোফোন, ক্যামেরা এবং ট্রাইপড। জীবাণুমুক্ত করতে হবে সব সরঞ্জামকেই। সম্ভব হলে এড়িয়ে চলুন পোশাকের সঙ্গে লাগিয়ে রাখা ক্লিপ অন মাইক্রোফোন।

০৭ ১২

সংক্রামিত এলাকা থেকে সংবাদ পরিবেশন করতে হলে চেষ্টা করুন সরঞ্জাম নীচে না নামিয়ে হাতে ধরে রাখতে।

০৮ ১২

অফিসে বাড়তি পোশাক ও জুতো রাখুন। অ্যাসাইনমেন্টের ঘটনাস্থল থেকে ফিরে দ্রুত বদলে ফেলুন পোশাক। সম্ভব হলে গরম জলে স্নান করুন। গরম জলে জীবাণুনাশক মিশিয়ে কাচতে হবে পোশাক। যে জুতো পরে অ্যাসাইনমেন্টে যাবেন, সেটা পরে অফিস বা বাড়িতে হাঁটাচলা করবেন না।

০৯ ১২

অ্যাসাইনমেন্ট করছেন যাঁরা, তাঁরা অফিসের ঘেরাটোপেও মাস্ক পরতে পারেন। নয়তো আপনাদের থেকে সহকর্মীরা সংক্রামিত হতে পারেন।

১০ ১২

সাংবাদিকদের কাজের মধ্যে ভিড় এড়িয়ে চলা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু প্রেস কনফারেন্স হলে চেষ্টা করুন এক মিটার দূরত্ব বজায় রেখে বসার বা দাঁড়াবার।

১১ ১২

কাজের চাপ বেশি হলেও দিনের কোনও সময় মিল স্কিপ করবেন না। এড়িয়ে চলুন মশলাদার খাবার। ডায়েটে রাখুন হালকা রান্না করা খাবার এবং ফলমূল। বাইরে এক্সপোজার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। ইন্টারনেট এবং ফোনের মাধ্যমে যতটা সম্ভব কাজ সেরে রাখুন। বয়স পঞ্চাশ পেরিয়ে গেলে বা তার থেকে কমবয়সিদের কোনও ক্রনিক অসুখ থাকলে সংক্রামিত এলাকায় না যাওয়াই বাঞ্ছনীয়। কারণ এই দু’টি ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার সবথেকে বেশি।

১২ ১২

নিউজরুম-সহ অফিসের অন্যান্য অংশেও মেনে চলুন করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সতর্কতা বিধি। সবার শেষে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল, নিজের বা সহকর্মীর মধ্যে সামান্যতম উপসর্গ দেখা দিলেই জানান ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। (ছবি: আর্কাইভ ও সোশ্যাল মিডিয়া) (ছবি: আর্কাইভ, শাটারস্টক)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement