জুতো ভাল ভাবে পরিষ্কার করতে হবে। ছবি শাটারস্টকের সৌজন্যে।
লকডাউনের সময়েও তো বাজারে, দোকানে যেতে হচ্ছে। যাঁরা জরুরি পরিষেবায় কাজ করেন, তাঁদের যেতেই হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে। ফলে, বাড়িতে ফিরে জুতো, চটিও পরিষ্কার করতে হবে নিয়মিত ভাবে। জুতো, চটি যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছটিয়ে রাখা যাবে না। রাখতে হবে নির্দিষ্ট জায়গায় থাকা র্যাকে। পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন করে রাখতে হবে জুতো, চটি রাখার র্যাকও। না হলে, এই সব থেকেও নানা ধরনের জীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকবে। এমনটাই বলছেন চিকিৎসকেরা।
চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাসের কথায়, ‘‘সাধারণত, বাইরে থেকে ফিরে জুতো, চটি পরে কেউই আমরা ঘরে ঢুকি না। সেগুলি আমরা একটু দূরে কোনও একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা র্যাকে তুলে রাখি। কিন্তু এখন জুতো, চটি র্যাকে রাখার সময়েও সেগুলিকে ব্রাশ দিয়ে ঝেড়ে ও কাপড় দিয়ে ভাল ভাবে মুছে তুলে রাখতে হবে। আর সেটা নিয়মিত ভাবে করতে হবে। এ ছাড়াও প্রতি দিনই ক্রিম দিয়ে জুতো পালিশ করে বেরতে হবে। চটি পরে মাছের বাজারে গেলে বাড়ি ফিরে সেই চটি খুব ভাল ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। যাতে চটির গায়ে বা তলায় রক্ত না লেগে থাকে। তা হলে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকবে যথেষ্টই।’’
তবে যেটা আমরা প্রায়ই করি না, এই লকডাউনের সময় সেটা করা খুব জরুরি বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। সেটা হল, জুতো, চটি রাখার র্যাকগুলি রোজ খুব ভাল ভাবে পরিষ্কার করতে হবে। সেগুলির উপর জমে থাকা ধুলোবালি শুকনো কাপড়ে মুছে নিয়ে পরে তা ভিজে কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে। কারণ, র্যাকে থাকা বহু দিনরে অব্যবহৃত জুতো, চটিতে নানা ধরনের ছত্রাক, ব্যাক্টিরিয়া বা ভাইরাস আটকে থাকতে পারে। তা থেকে সংক্রমণের আশঙ্কা অমূলক নয়।
আরও পড়ুন: স্যানিটাইজার মিলছে না? হাত ধুতে এর চেয়েও ভাল বিকল্প কী?
আরও পড়ুন: মোবাইলেও ঘাপটি মেরে থাকে করোনাভাইরাস, কী ভাবে ব্যবহার করলে দূরে থাকবে অসুখ?