নিত্য খাবারে বেশি প্রোটিন খাবেন কী করে? ছবি: সংগৃহিত
কোভিডের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে ক্লান্ত পৃথিবী। যে লড়াই নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পরেও জারি থাকে বহুদিন। তবে আপনি একা নন। সেই লড়াইয়ে আপনার সঙ্গে আছে আনন্দবাজার ডিজিটাল। শরীরচর্চা, মনের যত্ন এবং খাওয়া-দাওয়ার গাইড ‘ভাল থাকুন’।
যে কোনও রোগ থেকে সেরে ওঠার সময় খাবারে বেশি করে প্রোটিন রাখা খুব জরুরি। তবেই দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। কিন্তু কী ভাবে আরও বেশি প্রোটিন রাখা যায় রোজকার খাদ্যতালিকায়? অনেকেই সেটা ঠিক বুঝতে পারেন না। রইল কিছু সহজ ফিকির।
১। একসঙ্গে অনেক খাবার খাবেন না। প্রোটিন হজম করতে অনেক বেশি সময় লাগে। এবং তা ঠিকমতো হজম হতে যে পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম করা প্রয়োজন, তা কোভিডের পর সম্ভব নয়। তাই অল্প অল্প করে অনেকবার খান।
২। দুধ, দই, ঘোল, লস্যি— এগুলোয় প্রচুর প্রোটিন রয়েছে। বিশেষ করে নিরামিষাসীদের জন্য এগুলো মাছ-মাংসের ভাল বিকল্প। অনেকে মনে করেন, দই খেলে ঠান্ডা লেগে ফের কাশি শুরু হবে। কিন্তু সেটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। দইয়ে প্রোটিনের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে গুড ব্যাকটিরিয়া থাকে। তাই হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
৩। টুকটাক খাবারের সময় ফলের সঙ্গে চিজ খান, কিংবা ডিম সিদ্ধ খান, অথবা ড্রাই ফ্রুটের সঙ্গে গ্রিক ইয়োগার্ট খান। এগুলো প্রত্যেকটাতেই প্রোটিন পাবেন।
৪। মাছ, মাংস খাওয়া খুব জরুরি। তবে রেড মিট খাবেন না। চিকেন স্যুপ খেতে পারেন। পনীর খেতে পারেন। দুপুরের খাবারে অবশ্যই ডাল রাখবেন। যাঁরা মাংস খান না, তাঁরা রাতের খাবারে সোয়া-বিন রাখতে পারেন। সোয়া বিনের তরকারি ছাড়াও সোয়া দিয়ে পোলাও তৈরি করে খেতে পারেন স্বাদবদলের জন্য।
৫। অনেকের কোভিডের পর পেটের সমস্যা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে একসঙ্গে অনেক প্রোটিন খাওয়াও বিপদ। ছানা, দই, সিদ্ধ ডালের মতো হালকা খাবার খাওয়া যাবে।
৬। নিয়ম মেনে খাওয়া দাওয়া করার পরও যদি দেখেন, ওজন কমে যাচ্ছে, তাহলে সেটা চিন্তার বিষয়। তাই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।