মাস্ক পরিষ্কারের নিয়ম না জানলে রোগ ঢুকবে সেখান দিয়েই। ছবি: শাটারস্টক।
করোনা-হানা থেকে বাঁচতে মাস্ক পরার কথা বার বার বলছে আইসিএমআর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-ও তাদের পরিবর্তিত নির্দেশিকায় মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে রাস্তায় বেরলেই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শুধু পরলেই তো হল না, সেই মাস্ক পরিষ্কার করবেন কী উপায়ে তা না জানলে বিপদ পিছু ছাড়বে না। বরং অপরিষ্কার মাস্কের মাধ্যমেও রোগাক্রান্ত হতে পারেন।
তাই মাস্ক ধোয়ার পদ্ধতি জেনে রাখা জরুরি। যদি সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করেন, তা হলে ধোয়াধুয়ির ঝঞ্ঝাট নেই। সার্জিক্যাল মাস্ক পরে ফেলে দিতে হয়। কিন্তু এন৯৫ (চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য) ও সুতির কাপড়ের মাস্ক বা টেরিলিন কাপড়ের মাস্ক এমনকি ঘরোয়া উপায়ে বানানো মাস্ক পরলেও নির্দিষ্ট রীতি মেনে তাদের পরিষ্কার করতে হবে।
মাস্ক পরিষ্কারের নিয়ম
জনস্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসক গৌতম বরাটের মতে:
• বাড়ি ফিরে মাস্ক খুলুন দড়ি, ফিতে বা রাবার ব্যান্ডের অংশ ধরে। মাস্কে সরাসরি হাত দেবেন না। এ বার তা সাবান জলে ভিজিয়ে কেচে নিন। তাতে মাস্ক জীবাণুমুক্ত হবে।
আরও পড়ুন: করোনা-যুদ্ধে যক্ষ্মার টিকা কি কিছুটা নিরাপত্তা দিতে পারে?
শুকিয়ে যাওয়ার পর ইস্ত্রি করুন মাস্ক।
• কাচার পর জীবাণুনাশক লোশনে ডুবিয়ে ঝুলিয়ে রাখুন ছাদের কোনও আংটায়। ফিতে বা দড়ির অংশটি আংটা ধরে ঝুলবে। শুকানোর সময় মাস্কের মূল অংশে ধুলোবালি যেন না লাগে।
• এ ছাড়া আর একটি উপায়ও রয়েছে। জল ফুটতে দিয়ে তাতে নুন ফেলে দিন। এ বার ওই নুন মেশানো গরম জলেও মাস্ক ফেলে ফুটিয়ে নিতে পারেন। তাতেও সহজেই জীবাণুমুক্ত হবে মাস্ক।
• তবে এ ক্ষেত্রেও নিয়ম মেনে তাকে কড়া রোদে শুকোতে দিন।
• কেচে শুকোনোর পর তাকে ৫-৭ মিনিট ধরে ইস্ত্রি করে নিলেই আপনার মাস্ক ফের ব্যবহারের জন্য তৈরি।
• কোনও ভাবেই ভেজা মাস্ক পরবেন না। এতে সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)