‘এক্স-রে সেতু’র হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটবট। ছবি প্রতীকী। ছবি: সংগৃহিত
ছোট প্রত্যন্ত শহরে বা গ্রামীণ এলাকায় যেখানে আরটি-পিসিআকর পরীক্ষা বা সিটি স্ক্যান সহজে করানো সম্ভব নয়, সেই সব অঞ্চলের কথা ভেবে সরকারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি শুরু হয়েছে ‘এক্স রে সেতু’। আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স দ্বারা চালিত এই পদ্ধতি কাজ করবে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। কোনও ডাক্তার বা রেডিয়োলজিস্ট যদি বুকের এক্স-রে’র ছবি তুলে সেটা হোয়াটসঅ্যাপে আপলোড করেন, তা হলে সেই ছবি বিশ্লেষণ করে ১৫ মিনিটের মধ্যে রিপোর্ট পাঠাবে চ্যাটবট। কোরোনাভাইরাস, নিউমোনিয়া বা টিবি’র মতো কোনও অসুখ রয়েছে কিনা জানা যাবে অবিলম্বেই।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (আইআইএসসি), একটি স্টার্টআপ সংস্থা ‘নিরাময়ী’ এবং আর্টপার্ক যৌথভাবে এই প্রযুক্তি তৈরি করেছে। এই মুহূর্তে ৫০০ জন ডাক্তার এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন। তবে ‘আর্টপার্ক’এর তরফ থেকে সংবাদ সংস্থাকে জানানো হয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি ১০,০০০ ডাক্তার এই মাধ্যম ব্যবহার করবেন বলে তাঁরা আশাবাদী।
গ্রামীণ এলাকায় সিটি স্ক্যান বা আরটি-পিসিআর’এর মতো সুবিধা সহজলভ্য নয়। অনেক ক্ষেত্রে পরীক্ষা করতে দেরি হয়ে যাওয়ার (কোনও কোনও সময় প্রায় ৩ থেকে ৪ দিন) রোগীর অবস্থা আরও গুরুতর হয়ে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যুও ঘটছে। সেই ধরনের পরিস্থিতি ভবিষ্যতে এড়াতে সরকারের এই প্রচেষ্টা। মোবাইলে তোলা লো-রেজোলিউশন ছবি দেখেও এই চ্যাটবট রিপোর্ট তৈরি করতে সক্ষম। তাই চটজলদি রিপোর্ট পাওয়ার সুবিধা রয়েছে এই প্রযুক্তিতে। এই উদ্যোগে ‘আর্টপার্ক’ ২৩০ কোটি টাকার সাহায্য পেয়েছিল আইআইএসসি’র তরফ থেকে। আপাতত বিনামূল্য মানুষ এই পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন। নির্মাতাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে এই পরিষেবা যদি অর্থের বিনিময় ব্যবহার করতেও হয়, তা হলে তা রিপোর্টপিচু ১০০ টাকার বেশি হবে না।