ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে অতিমারী। কিন্তু এমন সময়েও যে বাঙালি তার স্বভাবসিদ্ধ রসবোধ হারায়নি, তার প্রমাণ সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পোস্টে। কিন্তু নিছক রসিকতাই কি এই সময়ে কাম্য, চেতন-বার্তা নয়? এই ভাবনা থেকে কিছু মিম তৈরি করল কলকাতার বিজ্ঞাপন সংস্থা ‘জেনেসিস’।
বাঙালির চেনা দুঃখ চেনা সুখের সঙ্গী চেনা গানের কিছু পঙক্তি উঠে এল চোখ জুড়নো আর্টওয়ার্কের হাত ধরে। এই গুরুভার সময়ে বাঙালির স্মৃতিরেখায় দাঁড়িয়ে পড়ল রবীন্দ্রসঙ্গীত থেকে আজকের ফিলমি গানও।
কাছে এসো না। সহচরীর হাতে হাত না রেখেও ঘিরি ঘিরি ঘরবন্দি নাচের মিম-এ সচেতনতার বার্তা।
তুমি যেমনই হও, বাপু ঘরে থাকো। বেঁচে থাকলে ভেলপুরি অনেক জুটবে। কোয়রান্টিনের সজ কথা সহজ স্বরেই।
রবীন্দ্রনাথই বা কেন আসবেন না এই লক ডাউনে? ‘জেনেসিস’-এর ক্রিয়েটিভ হেড ইন্দ্রায়ুধ মিত্র জানালেন, করোনা আন্তর্জাতিক সঙ্কট। কিন্তু আমাদের ঘরের কথা বাংলায় বলাই এখন জরুরি। তাই চেনা গান, জনপ্রিয় সংস্কৃতির ছোঁওয়া।
সলিল চৌধুরী থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়—বাঙলির নাড়ির টানকে অনুভব করেই তুলে আনা গানের পঙক্তিতে এসে বসছে করোনা-চেতাবনি।
সেই সময় থেকে এই সময়—করোনার দাপটে ঘরকোনা বেছে নিতে বাধ্য বঙ্গজনের কানে কানে ঘরে থেকের বার্তা। কোথাও যেন লুকিয়ে কর্মব্যস্ত ‘বং’-এর হঠাৎ জুটে যাওয়া গেরস্থালির আন্তরিক ছবি।
‘জেনেসিস’-এর কর্ণধার উজ্জ্বল সিংহ বললেন, “সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে কাজ করলেও আমরা মূলত বাংলার এজেন্সি। তাই চাইছি মাতৃভাষায় বাংলার জন্য ঘরে থাকার গল্প বলতে… আসলে এটাও শৃঙ্খল ভাঙার লড়াই, তবে নতুন, অচেনা…।”