টিকা কি পারবে আগের পৃথিবী ফিরিয়ে দিতে? ছবি: সংগৃহীত
কেমন হবে ভবিষ্যতের দুনিয়াটা? কেমন হবে যদি পৃথিবীর সকলের টিকাকরণ হয়ে যায়? তখন কি পৃথিবী থেকে মুছে যাবে করোনার নাম? একটা খারাপ সময়ের খারাপ স্মৃতি হিসেবেই শুধু থেকে যাবে করোনা?
হালে এই প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তরগুলি নিয়ে আলোচনা করেছেন আমেরিকার চিকিৎসকেরা। তাঁদের মতে, সকলের টিকাকরণ হয়ে গেলেই যে পরিস্থিতি হুবহু আগের মতো হয়ে যাবে, এমনটা নাও হতে পারে।
কী বলছেন তাঁরা? চিকিৎসকদের দলের অন্যতম সদস্য জেরাল্ড কোমিসিয়ং বলছেন, ‘‘অজান্তেই আমাদের অনেকে মৃদু উপসর্গ নিয়ে বা উপসর্গ ছাড়াই এই জীবাণুকে বয়ে বেড়াব। আর নানা কারণে যাঁদের রোগপ্রতিরোধ শক্তি কম, তাঁদের বারবার এই জীবাণু আক্রমণ করবে এবং হয়তো সমস্যাতেও ফেলবে। টিকাকরণ হয়ে গেলেও পুরোপুরি বাঁচতে পারবেন না তাঁরা।’’
ফিরবে কি খোলা আকাশের নীচে এ ভাবে আড্ডা দেওয়ার দিন?
আমেরিকায় টিকাকরণের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। হয়তো দেশের সকলের টিকাকরণও হয়ে যাবে আর অল্প সময়ের মধ্যে। তার পরে কি আর সচরাচর দেখা যাবে না এই ভাইরাসকে? সে কথাও মানতে নারাজ দলের আর এক সদস্যা সুজান ক্লাইন। তাঁর মতে, ‘‘প্রতি বছরই হয়তো ফিরে ফিরে আসবে এই ভাইরাসের সংক্রমণ। ভাইরাসটিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে বদলাবে। রূপান্তরের মধ্যে দিয়ে যাবে। প্রতি বছরই যে ভাবে সর্দি-কাশি-জ্বরের ভাইরাস ফিরে আসে সে ভাবেই হয়তো আরও কিছুটা শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে।’’
ফুরিয়ে যাবে কি এ সবের ব্যবহার?
তা হলে টিকাকরণে লাভ কী হল? টিকাকরণ দিয়ে পুরো অসুখ শেষ করা যায় না। এমনই বলছেন দলের অন্য এক সদস্য বেথ ওলের। তাঁর মতে, ‘‘হামের টিকাও তো শিশুদের দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও হামের ঘটনা একেবারে ঘটে না, তা তো নয়। কিন্তু হাম অতিমারির আকার নেয় না। সে ভাবে করোনাও হয়তো নেবে না। কিন্তু বিশেষ বিশেষ জনগোষ্ঠীর মধ্যে থেকে যেতে পারে এই জীবাণু। ফলে কোথাও কোথাও যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে মাথাচাড়া দেবে না, তাও ভাবার কারণ নেই।’’