প্রতীকী ছবি।
পাতে ভাত থাকুক বা রুটি। ডাল ছাড়া কি চলে! বেশ সহজেই বানানোও যায়। আবার ফোলেট, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানও রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে নিয়মিত ডাল খেলে কমে হৃদ্রোগের ঝুঁকি। তাই মুগ কিংবা মুসুর পাতে যে ডালই রাখুন না কেন, আপনার শরীর-স্বাস্থ্যের উন্নতি হবেই। তবে ঠিক ভাবে ডাল রান্না করেন তো! না, এখানে ডাল তৈরির রেসিপির কথা হচ্ছে না। আসলে ডাল তৈরির উপায়ে ভুল হয়ে গেলে বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডাল ঠিক মতো রান্না করার উপায় ডাল ভিজিয়ে তবেই রান্না করা।
প্রতীকী ছবি।
কেন ডাল ভিজিয়ে রাখবেন?
ডাল না ভিজিয়ে অনেকেই রান্না করেন। এতে কিন্তু শরীরের ক্ষতি হয়। হতে পারে হজমের গণ্ডগোলও। কিন্তু ডাল ভিজিয়ে রাখলে সেই সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই। কারণ ভিজিয়ে রেখে ডাল রান্না করলে তা হজমশক্তি বাড়ায়। ডালে থাকা লেকটিনস ও ফাইটেটস নামের উপাদান, যা মূলত গ্যাস-অম্বলের কারণ সেটাও নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব, ডাল ভিজিয়ে রাখলে। আর দীর্ঘ ক্ষণ ডাল ভিজিয়ে রাখলে চটজলদিই রেঁধে ফেলতে পারবেন।
কী ভাবে ডাল ভেজাবেন?
একটি পাত্রে ডাল নিয়ে ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। বার তিনেক জল পরিবর্তন করে হাত দিয়ে ঘষে ঘষে ডাল ধুয়ে নিন। তারপর একটি পাত্রে রেখে জল দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন।
কোন ডাল কতক্ষণ ভেজাবেন?
মুগ ডাল, মুসুর ডাল, অড়হড় ডাল কম করে ৮-১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখা উচিত। রাজমা বা ছোলা জাতীয় ডাল ভিজিয়ে রাখুন ১২-১৮ ঘণ্টা। তবে এতটা সময় না দিতে পারলে অন্তত আগের দিন রাতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে রান্না করুন।