কী ভাবে প্রাণে বাঁচল শিশুটি? ছবি: সংগৃহীত।
শিশুর গলায় ৫ বছর ধরে আটকে থাকা একটি কয়েন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বার করলেন চিকিৎসকেরা। ১২ বছর বয়সি সেই শিশুর কাকুর বক্তব্য, সে মাত্র ৫ বছর বয়সেই কয়েনটি গিলে ফেলেছিল। শেষমেশ চিকিৎসকেরা জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কয়েনটি বার করতে সফল হয়েছেন।
চিকিৎসক বিবেক সিংহ এবং তাঁর সহযোগী চিকিৎসকেরা যৌথভাবে এই অস্ত্রোপচারটি করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের হারদয় গ্রামে।
বাঘৌলির মুরালিপুরা গ্রামের বাসিন্দা অঙ্কুলের প্রথম বার পেটে যন্ত্রণা শুরু হয় এপ্রিল মাসে। তার পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকের দেওয়া কিছু ওষুধ খেয়ে সে সুস্থ হয়ে ওঠে। তার পর হঠাৎই অঙ্গুলের গলায় ব্যথা শুরু হয়। সেই শুনে অঙ্কুলের দাদু সঙ্গে সঙ্গে ওকে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের এক্সরে করার পর দেখা যায়, শিশুটির খাদ্যনালির একপাশে একটি কয়েক আটকে রয়েছে। কয়েনটি এমন ভাবে অঙ্কুলের খাদ্যনালিতে আটকে ছিল যে তাতে খুব বেশি ওর অসুবিধা হচ্ছিল না, তবে মাঝেমধ্যেই ব্যথা হচ্ছিল তার। শেষমেশ টেলিস্কোপ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কয়েনটি বার করা সম্ভব হয়েছে। চিকিৎসক বিবেক সিংহ বলেন, ‘‘কয়েনটি শিশুটির গলায় ৭ বছর আটকে ছিল, ভেবেই অবাক লাগছে। এর থেকে ওর শরীরে বড় রকম সংক্রমণে ঝুঁকি ছিল। কয়েনটি বার করা হলেও সংক্রমণের ঝুঁকি কিন্তু এখনও রয়েছে।’’