দফায় দফায় মোট ৫৫০জনের শরীরে এই টিকা দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। ফাইল চিত্র
চিনে তৈরি প্রতিষেধক শিশুদের জন্য ক্ষতিকর নয়। তা নিতে পারবে কিশোরেরাও। সম্প্রতি এমনই কথা প্রকাশিত হল একটি বিজ্ঞান পত্রিকায়।
ইতিমধ্যেই হয়েছে পরীক্ষা। করোনাভ্যাক নামক সেই প্রতিষেধকের দু’টি টিকা নেওয়ার পরে দেখা গিয়েছে, তা ব্যবহার করলে অসুবিধা নেই। তিন থেকে সতেরো বছর বয়সিদের মধ্যে যথেষ্ট সংখ্যক অ্যান্টিবডি তৈরি করছে এই প্রতিষেধক। এমনই কথা প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্য ল্যানসেট ইনফেকশাস ডিজিজেস জার্নাল’-এ।
চিনের জানহুয়াং কাউন্টিতে এই প্রতিষেধক পরীক্ষা করা হয়েছে শিশু ও কিশোরদের উপরে। প্রথম দফায় ৭২জনকে দেওয়া হয়েছে টিকা। দ্বিতীয় দফায় দেওয়া হয় আরও কয়েকজনকে। দু’দফাতেই যারা টিকা পেয়েছে, তাদের কোনও নির্দিষ্ট নিয়মের ভিত্তিতে বাছা হয়নি। যাতে সব ধরনের মানুষের শরীরে দিয়ে এই টিকা পরীক্ষা করা যায়, তা দেখাই ছিল উদ্দেশ্য। কারও শরীরে দেওয়া হয়েছে দেড় মিলিগ্রামের টিকা, কারও শরীরের গিয়েছে তিন মিলিগ্রাম। দফায় দফায় মোট ৫৫০জনের শরীরে এই টিকা দিয়ে পরীক্ষা করা হয়।
তিন থেকে সতেরো বছর বয়সিদের মধ্যে যথেষ্ট সংখ্যক অ্যান্টিবডি তৈরি করছে এই প্রতিষেধক। ফাইল চিত্র
কারও শরীরেই কি কোনও ধরনের অসুবিধা হয়নি এই টিকা দিয়ে?
তেমনও নয়। তবে অধিকাংশের ক্ষেত্রে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শুধু একজন এই প্রতিষেধক নেওয়ার পরে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়। গবেষকেদের বক্তব্য, প্রতিষেধকের প্রভাবে এই অসুস্থতা নয়।
এ মাসের শুরুর দিকে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’ (হু) এই করোনাভ্যাক প্রতিষেধককে সবুজ পতাকা দেখায়। জরুরি পরিস্থিতিতে এর ব্যবহার করা যাবে বলে জানানো হয়। করোনাভ্যাক তৈরি করছে বেজিংয়ের এক সংস্থা। নাম সাইনোভ্যাক।