‘অওধ’এ রয়েছে বিরিয়ানি, কবাবের বিপুল সম্ভার। ছবি: সংগৃহীত।
পুজো মানেই সারা বছর ধরে জমিয়ে রাখা আবেগ, উল্লাসের বহিঃপ্রকাশ। কাজকর্ম সামলে ক’দিনের আনন্দে গা ভাসিয়ে দেওয়া। পুজোর সময়ে বাড়িতে রান্না-খাওয়ার পাট রাখতে চান না অনেকে। আবার অনেকে শহর ছেড়ে একটু দূরে ক'টা দিন ছুটি কাটিয়ে আসতে চান। দুইয়ের খোঁজই রয়েছে এখানে। পুজো উপলক্ষে বিশেষ মেনু সাজিয়ে রেখেছে বেশ কিছু রেস্তরাঁ। চাইলে সেখানে গিয়ে খেতে পারেন। আবার শহরের কাছেই রয়েছে এমন রিসর্ট, যেখানে চাইলেই এক রাত কাটিয়েও আসতে পারেন।
অওধ ১৫৯০
সঙ্গে যেই থাকুক, পুজোয় বিরিয়ানি খাওয়া হবে না, তা কি হয়? বিরিয়ানি বললেই তো লখনউয়ের কথা নবাবী ঘরানার কথা মনে পড়ে। কলকাতায় বসে এই লখনউ ঘরানার বিরিয়ানি অওধ ছাড়া আর কোথায় পাবেন? তবে সেখানে যাওয়া আগে জেনে নিন পুজোর মেনুতে কী কী থাকবে? বিরিয়ানির বিপুল সম্ভার যেমন থাকবে, তেমন নিরামিষ খেতে পছন্দ করেন যাঁরা, তাঁদের জন্যেও নানা রকম পদ থাকবে। আচারি পনির টিক্কা, মাশরুম গালৌটি কবাব, আওয়াধি হান্ডি বিরিয়ানি, মুর্গ কলমি কবাব তো রয়েছেই, সঙ্গে থাকছে ফিরনি, শাহি টুকরার মতো শেষ পাতে মিষ্টিমুখের আয়োজন । দু’জনের জন্য খরচ পড়বে ১৩০০ টাকা্র আশপাশে। ভিড় এড়াতে চাইলে অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপ থেকে খাবার আনিয়ে, বাড়িতে বসেও খেতে পারেন। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় এবং শহরতলিতেও রয়েছে এই রেস্তরাঁর শাখা।
‘চ্যাপ্টার ২’ তে গেলে চেখে দেখতে পারেন গ্রিল্ড অক্টোপাস। ছবি: সংগৃহীত।
চ্যাপ্টার ২
পুজোর চারটে দিনই তো বাঙালি খাবার কিংবা বিরিয়ানি খাবেন না। যদি অন্য রকম খাবার চেখে দেখার ইচ্ছে হয়, তা হলে সপরিবার চলে আসতে পারেন সাদার্ন অ্যভিনিউয়ের এই রেস্তরাঁয়। বেবিকর্ন ফ্লোরেন্টাইন, পেনি পাস্তা ইন ক্রিমি পেস্তো সস, পর্ক ভিন্দালু, প্রন ককটেল, গ্রিল্ড অক্টোপাস থেকে তিরামিসু, চিজ় কেক, ব্রাউনি উইথ ভ্যানিলা আইসক্রিম— সবই পাবেন এখানে এলে। দু’জনের জন্যে খরচ ১৫০০ টাকা। তবে কর অতিরিক্ত। বাড়িতে বসে খেতে চাইলে অনলাইনে অর্ডার করার সুযোগ তো রয়েছেই।
‘নাইনটি নাইন’ রেস্তরাঁয় পাবেন চিকেন মুর্শিদাবাদি। ছবি: সংগৃহীত।
নাইনটি নাইন
স্কুল পেরিয়ে সদ্য কলেজে পা দেওয়া তরুণ-তরুণীরা চাইলেই তো ফাইনডাইনে যেতে পারেন না। কারণ, তাঁদের হাতখরচা সীমিত। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই ‘নাইনটি নাইন’ তাদের মেনু সাজিয়েছে। দু’জনের জন্য খাওয়ার খরচ শুরু হচ্ছে ১৯৮ টাকা থেকে। বিশেষ বন্ধুর সঙ্গে চিকেন ড্রামস্টিক, ফ্রায়েড ফিশ, গ্রিল্ড চিকেন মেয়োনিজ় স্যান্ডউইচ, আলুর পরটা, চিকেন কষা, বিরিয়ানি, পিৎজ়া, চাইনিজ় কম্বো মিল, পকোড়া— সবই পাবেন ঠিক নজরুল মঞ্চের উল্টো দিকে এলে।
নদী থেকে তোলা টাটকা কাঁকড়ার স্বাদ নিতে আসতে হবে ‘ঝড়ে-জলে-জঙ্গলে’ রিসর্টে। ছবি: সংগৃহীত।
ঝড়ে-জলে-জঙ্গলে ইকো হেরিটেজ রিসর্ট
পুজোয় ক’দিন কলকাতায় থেকে দশমী কিংবা একাদশীর দিন বেরিয়ে পড়তে পারেন শহর ছেড়ে। তবে বেশি দূরে যেতে হবে না। সুন্দরবনের কাছে ঝড়খালিতে রয়েছে ঝড়ে-জলে-জঙ্গলে ইকো হেরিটেজ রিসর্ট। ঘরোয়া পরিবেশে পুজোর আমেজ উপভোগ সঙ্গে উপরি পাওনা হতে পারে বাঘের গর্জন। বাঙালি খানার সঙ্গে এমন নিরিবিলি, শান্ত পরিবেশে এক রাত কাটাতে মাথাপিছু খরচ পড়বে ৩৪৯৯ টাকা।