আদা, রসুন মিশিয়ে খান? ছবি: সংগৃহীত।
নিরামিষ রান্নাতে সাধারণত রসুন দেওয়ার চল নেই। কিন্তু আমিষ রান্নাতে আদা এবং রসুন দু’টিই দেওয়া হয়। রান্নার স্বাদ বাড়িয়ে তুলতে এই দু’টি কন্দের জুড়ি মেলা ভার। তবে, আয়ুর্বেদেও কিন্তু আদা এবং রসুন, দু’টি মশলারই সমান গুরুত্ব রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, আদা এবং রসুন একসঙ্গে খেলে না কি তার ঔষধি গুণ নষ্ট হয়। এমন ধারণা কি যুক্তিযুক্ত? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সে কথা বলার আগে আদা এবং রসুন সম্পর্কে কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন।
আদা:
আমিষ হোক বা নিরামিষ, প্রায় সব রান্নাতেই আদা দেওয়া হয়। তাতে রান্নার স্বাদ বৃদ্ধি হয়। তা ছাড়া আদার ঔষধি গুণ কম নয়। এই কন্দের মধ্যে রয়েছে ‘জিঞ্জারোল’ নামক একটি উপাদান। যা একই সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি।
‘জার্নাল অফ অল্টারনেটিভ অ্যান্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিশিন’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র বলছে, শরীরে কোথাও বিশেষ করে পেশিতে চোট-আঘাত নিরাময়ে আদা দারুণ ভাবে কাজ করে। অন্য একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, টাইপ ২ ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণেও আদার যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
এই দুটি উপাদানের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট একসঙ্গে মিশলে শরীরের তার প্রভাব বেড়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত।
রসুন:
আমিষ রান্নায় রসুনের ব্যবহার খুবই সাধারণ। রসুনের মধ্যে রয়েছে ‘অ্যালিসিন’। এই ‘অ্যালিসিন’ কিন্তু একই সঙ্গে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল। রসুন, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি রক্তচাপ এবং ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে।
‘জার্নাল অফ ইমিউনোলজি রিসার্চ’ বলছে, রসুন খেলে শরীরের ইমিউন কোষগুলির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে। আদার মতোই রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বশে রাখতে এই মশলার জুড়ি মেলা ভার।
অনেকেই মনে করেন, আদা-রসুন একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে শরীরে হয়তো উল্টো প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এই ধারণা একেবারেই যুক্তিযুক্ত নয়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, বরং তার কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। ‘জার্নাল অফ এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রি’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র বলছে, এই দুটি উপাদানের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট একসঙ্গে মিশলে শরীরের তার প্রভাব বেড়ে যায়।