কোভিড কি ডেকে আনছে অকাল বন্ধ্যাত্ব? ছবি: সংগৃহীত
কোভিডের কারণে যৌন অক্ষমতার পরিমাণ বাড়ছে, বাড়ছে বন্ধ্যাত্ব। এমন কথা শোনা যাচ্ছে বহু দিন ধরেই। কিন্তু এর পিছনে কি আদৌ কোনও যুক্তি আছে?
করোনাভাইরাস সরাসরি প্রভাব ফেলে মানুষের ফুসফুসে। ফলে শরীর সার্বিক ভাবে খারাপ হয়। কর্মক্ষমতা কমে যায়। ক্লান্তি আসে। তা ছাড়া কোভিডের কারণে লকডাউন এবং সারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া মানুষের মনের উপর তীব্র প্রভাবও ফেলেছে। সেই কারণেই বহু মানুষ যৌন সম্পর্কের ইচ্ছে হারিয়ে ফেলেছেন বলেও জানিয়েছেন। কিন্তু কোভিড সরাসরি যৌন অক্ষমতা ডেকে আনে, এমন প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। তবে নারী এবং পুরুষ— উভয়ের বন্ধ্যাত্বের সঙ্গে কোভিডের সম্পর্ক থাকতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
মহিলা: কোভিড মহিলাদের যৌন ক্ষমতা কমায় বা বন্ধ্যাত্বের আশঙ্কা বাড়ায় কি না এমন কোনও প্রমাণ নেই। কারণ সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে গেলে প্রচুর রোগীকে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। গর্ভবতী মহিলাদের কোনও ক্ষতি কোভিড করে কি না, সেটাও এখনও প্রমাণসাপেক্ষ। কারণ বেশি সংখ্যক কোভিডে আক্রান্ত গর্ভবতী মহিলার নমুনা এখনও পরীক্ষা করা যায়নি। তবে যাঁদের আগে থেকেই অন্য শারীরিক সমস্যা আছে, এখন গর্ভধারণের পর তাঁদের অতিরিক্ত সাবধান হতে বলছেন চিকিৎসকরা। কারণ এই অবস্থায় কোভিডে আক্রান্ত হলে হবু সন্তান এবং মা— দু’জনেরই ক্ষতি হতে পারে।
পুরুষ: হালের কিছু গবেষণা বলছে, পুরুষের যৌন ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে কোভিড। কোভিড সংক্রমণে শুক্রাণুর উৎপাদন কমেছে, অনেকের ক্ষেত্রে এমন দেখা গিয়েছে। তবে সেটি প্রত্যক্ষ ভাবে করোনাভাইরাসের কারণে নাও হতে পারে। কোভিডের কারণে শরীরের সার্বিক ক্ষতি হয়। সেখান থেকেই শুক্রাণু উৎপাদন কমছে বহু পুরুষের। ফলে উঠছে যৌন ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং বন্ধ্যাত্বের আশঙ্কার প্রশ্ন।
আগামী দিনে এ নিয়ে আরও কাজ হলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। তবে যাঁরা সন্তান চান, সেই বাবা-মায়েদের বর্তমান পরিস্থিতিতে খুবই সাবধানে থাকা এবং কোভিড সংক্রমণ বাঁচিয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।