চৈত্র সেলের বাজার। ছবি: সংগৃহীত।
গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চৈত্র সেলের বাজারের ভিড়। চৈত্রের গরম তোয়াক্কা না করেই সেলের বাজারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বাঙালি। একে সামনে পয়লা বৈশাখ, তার উপর কম দামে পছন্দের জিনিস বাড়িতে নিয়ে আসার এমন সুবর্ণ সুযোগ ছাড়তে চান না কেউই। তাই গড়িয়াহাট থেকে হাতিবাগান— সর্বত্র জনসমুদ্র। সেলের বাজার থেকে কী কী কিনবেন, চৈত্র মাস আসার আগেই অনেকেই তার একটি তালিকা তৈরি করে রাখেন। আবার পরিকল্পনা না করেই অনেকে বেরিয়ে পড়েন সেলের বাজারে কেনাকাটা করতে। পরিকল্পনা থাক বা না থাক, সেলের বাজার থেকে কিছু জিনিস কিনে রাখলে ঠকে যাওয়ার ভয় কম।
জুতো
এই সময় প্রায় সব জুতোর দোকানেই দামের উপর ছাড় থাকে। তাই কয়েক জোড়া জুতো কিনে রাখতে পারেন। তা হলে আর অন্য সময় বেশি টাকা দিয়ে কিনতে হবে না। তা ছাড়া, একজোড়ার জায়গায় দু’জোড়া জুতো থাকলে আপনারই লাভ। বাড়িতে একজোড়া কেনা থাকলে ছিঁড়ে গেলেও সঙ্গে সঙ্গে দোকানে দৌড়তে হবে না। আবার খানিকটা টাকাও সাশ্রয় হবে।
কেতাদুরস্ত পোশাক
শপিং মলে এই সময় জামাকাপড়ের উপর বিশেষ ছাড় থাকে না। তবে ঝাঁ চকচকে শপিং মলে ঢোকার আগে এক বার সেলের বাজার ঘুরে যান। একটু খুঁজলে কম দামে মনের মতো পোশাক পেয়ে যাবেন। সেই পোশাকই হয়তো বড় দোকান থেকে কিনলে গাঁটের কড়ি বেশি খসত।
শাড়ি
গড়িয়াহাট চত্বরে পা রাখলে বুঝতে পারবেন, সেলের বাজারও এত চোখ ধাঁধানো হতে পারে। সেলে শাড়ি কিনতে অনেকেরই মনে একটু খচখচ করে। যাবতীয় খচখচানি দূরে রেখে যদি এক বার বাজারে বেরিয়ে পড়তে পারেন, অবাক হবেন। এত কম দামে যে মনের মতো শাড়ি পেতে পারেন, বুঝতে পারবেন।
ব্যাগ
সারা বছরের সর্বক্ষণের সঙ্গী। সেলের বাজারে বেশ কয়েকটি ব্যাগ কিনে রাখুন। যাঁদের নিয়মিত বাইরে বেরোতে হয়, তাঁদের কাছে ব্যাগ অত্যন্ত দরকারি একটি জিনিস। গোটা সংসার থাকে মেয়েদের ব্যাগে। তাই সেলের বাজারে কম দামে ব্যাগ কিনে রাখলে আখেরে আপনারই লাভ।
গৃহস্থালির জিনিসপত্র
সেলের বাজারে সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি কিনতে ভুলবেন না। লঙিন লতাপাতা আঁকা কাপ-প্লেট, চিনামাটির বাসনও কিন্তু সেলের বাজারে পাওয়া যায়। এমনিতে এই ধরনের জিনিসপত্রের দাম খুব বেশি না হলেও সেলের বাজারে কিনলে টাকা খানিকটা বাঁচবে।