নিমন্ত্রিত অতিথি-অভ্যাগতদের মধ্যে থেকেই নিখোঁজ হয়ে গেলেন কনে। ছবি- সংগৃহীত
ঘটনাটি শুনলেই মনে হবে ‘থ্রি ইডিয়ট্স’ ছবির সেই দৃশ্যের কথা! বিয়ে ভন্ডুল করে, পূজাকে র্যাঞ্চোর কাছে পৌঁছতে সাহায্য করেছিলেন দুই বন্ধু রাজু এবং ফারহান। কিন্তু এ তো ঘোর বাস্তব। তবে এখানে কোনও বন্ধু নয়, মণ্ডপে হাজির স্বয়ং প্রেমিক। বিয়ের পর, সেখান থেকেই কনেকে মোটরসাইকেলে চাপিয়ে চম্পট দিলেন তিনি।
ওড়িশার মুকুন্দপুরের বাসিন্দা প্রেমকুমারের সঙ্গে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল বেলাঙ্গিরের এক তরুণীর। নিয়ম মেনে মালাবদল, সাত পাক সবই হয়েছিল। নতুন দম্পতিদের নিয়ে খেতেও বসেছিলেন বরের বাড়ির লোকজন। যেমনটা হয়ে থাকে নতুন দম্পতিদের নিয়ে, তেমনই ঠাট্টা-তামাশা চলছিল তাঁদের ঘিরে। তার পরই হঠাৎ বদলে গেল বিয়েবাড়ির আবহ। নিমন্ত্রিত অতিথি-অভ্যাগতদের মধ্যে থেকেই নিখোঁজ হয়ে গেলেন কনে। খোঁজ মিলল সিসিটিভি ফুটেজে।
প্রেমকুমার জানিয়েছেন, দুই পরিবারের তরফে দেখাশোনা করে মাস ছয়েক আগেই তাঁদের বিয়ে পাকা হয়। তার পর থেকেই হবু স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে প্রতিদিন কথাও হত। তিনি বলেন, “বরযাত্রীর সঙ্গে আমরা দু’জন খেতে বসেছিলাম। খেয়ে উঠে হঠাৎ কনে নিখোঁজ হয়ে যায়। বাড়ির মধ্যে সব জায়গায় তল্লাশি করার পরও তার খোঁজ না মেলায় সন্দেহ হয় কনের বাড়ির লোকের। তখন তাঁরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে শুরু করেন।”
ওই ফুটেজেই ধরা পড়ে আসল ঘটনা। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে কী ভাবে ওই তরুণী বিয়ের পোশাক এবং গয়না পরেই প্রেমিকের মোটরবাইকে উঠে চলে যাচ্ছেন, সেই গোটা ঘটনাই রেকর্ড হয়ে থাকে সেখানে। পরে প্রেমকুমার বলেন, “ওই তরুণী এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। কারণ, আমি চাই না ভবিষ্যতে এমন মানহানিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক।”