অভিনয়, সংসার, মেয়ে ভামিকার দায়িত্ব সামলেও চলতি আইপিএলে আরসিবি অধিনায়ক স্বামী বিরাট কোহলির অর্ধ শতরানে গ্যালারিতে বসেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তিনি। কী খেয়ে এত চনমনে থাকেন ৩৪-এ পা দেওয়া অনুষ্কা শর্মা?
পর্দার অভিনেতাদের নিয়ে সাধারণ অনুরাগীদের মনে স্বাভাবিক ভাবেই কৌতূহল তৈরি হয়। ছবি: সংগৃহীত
অভিনেত্রী, প্রযোজক, স্ত্রী এবং মা— সব ভূমিকাতেই তাঁকে সফল বলা চলে। বিয়েতে চিরাচরিত লাল শাড়ির বদলে হালকা গোলাপি লেহঙ্গায় নিজেকে সাজানো হোক কিংবা ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’-এ ঝুলন গোস্বামীর ভূমিকায় অভিনয় করার আগে পান্তা ভাত খেয়ে মনে-প্রাণে বাঙালি হয়ে ওঠা হোক—সব সময়েই খবরের শিরোনামে অনুষ্কা শর্মা। অভিনয়, সংসার, মেয়ে ভামিকার দায়িত্ব সামলেও চলতি আইপিএলে আরসিবি অধিনায়ক স্বামী বিরাট কোহলির অর্ধ শতরানে গ্যালারিতে বসেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তিনি। পর্দার অভিনেতাদের নিয়ে সাধারণ অনুরাগীদের মনে স্বাভাবিক ভাবেই কৌতূহল তৈরি হয়। এত দায়িত্ব সামলেও কী ভাবে সব সময় নিজেকে ফিট এবং চনমনে রাখেন অনুষ্কা, তা জানতে উৎসাহী অনুরাগীরা। আজ, ১ মে তাঁর ৩৪তম জন্মদিনে তা এল প্রকাশ্যে। রইল অনুষ্কার রোজের খাদ্যতালিকা।
সকাল: বিভিন্ন ধরনের মরসুমি ফলের রস, তিসির বীজ।
ঘুম থেকে উঠেই যেহেতু চুমুক দেন ফলের রসে, তাই সকালের খাবারে খুব ভারী কিছু থাকে না। সামান্য চিজ দেওয়া টোস্ট আর এক গ্লাস ডাবের জল।
এত দায়িত্ব সামলেও কী ভাবে সব সময় নিজেকে ফিট এবং চনমনে রাখেন অনুষ্কা, তা জানতে উৎসাহী অনুরাগীরা। ছবি: সংগৃহীত
দুপুর: অনুষ্কা খুবই স্বল্পহারী। তাই দুপুরের খাবারেও বেশি কিছু খান না অভিনেত্রী। দু’টি রুটি, এক বাটি ডাল, সব্জি এবং স্যালাড— এই থাকে তাঁর দুপুরের খাবারে।
সন্ধ্যা: অনুষ্কা অত্যন্ত শরীর সচেতন। খাদ্যতালিকা দেখলেই তা বোঝা যায়। সন্ধেবেলায় খিদে পেলে তাই ফল খান অথবা প্রোটিন শেক।
রাত:নৈশভোজে থাকে পাতলা রুটি আর চিকেন স্টু। কখনও কখনও এক গ্লাস গরম দুধও থাকে।
এরই সঙ্গে সমানতালে চলে শরীরচর্চা। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়ম করে জিমে যাওয়ার বদলে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াতেই বেশি ভরসা রাখেন তিনি। রোজ পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান। তিনি মনে করেন, জলেই ধরা থাকে ওজন কমানোর রহস্য। এ ছাড়াও নিয়মিত যোগাসন, ব্যায়াম, প্রাণায়াম করেন। রোজ ১৫-৩০ মিনিট নাচ করেন। এই তাঁর ফিট থাকার মন্ত্র।