লিভ-ইন নিয়ে কী মত আলিয়ার? ছবি: সংগৃহীত।
২০২২ সালে রণবীর কপূর আর আলিয়া ভট্টের বিয়ে নিয়ে বলিউডে বিপুল চর্চা হয়েছিল। বলিপাড়ায় তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন শুরু হওয়ার পর থেকেই আলিয়া-রণবীরের সম্পর্ক কত দিন টিকবে, তা নিয়ে জোর চর্চা চলেছিল। রণবীরের ঘন ঘন প্রেমে পড়ার স্বভাবই তার মূল কারণ। তবে রণবীর-আলিয়ার বয়সের ফারাকও এক বিশেষ আলোচনার বিষয় ছিল সে সময়ে। দু’জনের বয়সের ব্যবধান প্রায় ১১ বছরের। তবে আপাতত তাঁরা দু’জনেই বলিপাড়ার অন্যতম ‘পাওয়ার কাপল’! সালটা ২০১৮। তখনই আলিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে আসেন রণবীর। ২০২০ সালেই তখনই বিয়ে সেরে ফেলতে চেয়েছিলেন তাঁরা। তবে কোভিড অতিমারি, ঋষি কপূরের মৃত্যু— একের পর এক ঘটনার জেরে পিছিয়ে যায় বিয়ে। অবশেষে ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে মুম্বইয়ে নিজেদের অ্যাপার্টমেন্টেই বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ছিমছাম ভাবে বিয়ে করেন রণবীর-আলিয়া। কিন্তু বিয়ের অনেক আগে থেকেই রণবীরের সঙ্গে ‘লিভ ইন’ করতেন আলিয়া।
বিয়ের কয়েক মাসের মাথায়, ২০২২-এর জুনের শেষে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন আলিয়া। আর এই ঘোষণার মাত্র চার মাস পর তাঁদের কন্যাসন্তান রাহার জন্ম হয়। সেই নিয়েও কম কটাক্ষের মুখ পড়তে হয়নি তাঁকে। সহবাস নিয়ে কী মত আলিয়ার? কেন বিয়ের আগে রণবীরের সঙ্গে একত্রবাসের থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন আলিয়া।
আলিয়ার মতে, সহবাস করলে সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেকটা সময় পাওয়া যায়। ফলে সঙ্গীকে বেশি ভাল করে চেনা যায়। সুন্দর সব স্মৃতি তৈরি হয়। আলিয়া বলেন, ‘‘একসঙ্গে থাকার সুযোগ পেলে কেন থাকবে না কেউ? এ ভাবেই দু’জনের একসঙ্গে থাকার অভ্যাস তৈরি হয়। কত স্মৃতি তৈরি হয়, বিয়ের চাপ থাকে না মাথায়। পরস্পরের সঙ্গে স্বচ্ছন্দও হওয়া যায়।’’ অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘‘আমরা বিয়ে করব ভেবেই একসঙ্গে থাকার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু মহামারির কারণে বিয়েটা পিছিয়ে যায়। তাই ভাবলাম, একসঙ্গে থাকা শুরু করি। তার পর বাকি বিষয় নিয়ে ভাবা যাবে। যা করেছি, ভেবেচিন্তেই করেছি।’’
বিয়ের আগে লিভ ইন করা নিয়ে কোনও আফসোস নেই অভিনেত্রীর। বরং তিনি সেই দিনগুলি ভাল মতো উপভোগ করেছিলেন, এমনটাই তাঁর জবাবে স্পষ্ট।