অদিতি রাও হায়দরি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
তিনি হায়দরাবাদের রাজপরিবারের কন্যা। তার উপর বলিউডের অভিনেত্রী। গত কয়েক মাসে ধাপে ধাপে বিয়ের নানা পর্বের ছবি-সহ ঘোষণা করে আরও বেশি করে খবরে। সেই ‘তিনি’ যদি আচমকা খাঁটি কলকাত্তাইয়া ফুটপাথের খাবারদাবারে মন দেন, তবে বাঙালি ভক্তরা চমকে যাবেন না? অদিতি রাও হায়দরি অবশ্য কে কী ভাবলেন, সে সবের পরোয়া না করে জমিয়ে খেয়েছেন। কলকাতার খাবারের প্রতি তাঁর ভালবাসার কথাও জানিয়েছেন।
‘কলকাতার খাবার’ বলতে আজও রসগোল্লা আর মিষ্টি দইয়ের বাইরে বেরোতে পারেননি বলিউডের বহু তারকা। তবে ইদানীং প্রচারগুণে বিখ্যাত হয়েছে কলকাতার বিরিয়ানিও। অদিতি অবশ্য সে সবের ধারকাছ দিয়েও যাননি। তিনি যা খেয়েছেন, তা বাঙালি সাতসকালে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে নিয়ম ভাঙার জন্য লালায়িত হলে খেয়ে থাকে। শালপাতার মোড়কে জড়ানো এক কামড়েই সাবাড় হয়ে যাওয়া ধোঁয়াদার ক্লাব কচুরি আর ঝাল ঝাল কালচে মশলা ছড়ানো কুমড়ো আলোর তরকারি। কচুরির জন্ম রাজস্থানের মারওয়াড়ে হলেও হিংয়ের গন্ধ আর অড়হর ডালের পুর দেওয়া ক্লাব কচুরি একান্ত ভাবেই কলকাতার। তবে অদিতি শুধু কচুরিতে থেমে না থেকে কলকাতার একান্ত আপন বিকেলের জলখাবার টক ফুচকাও খেয়েছেন।
অদিতির মেনুতে যা যা ছিল। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
যদিও এই সব খাবার চেখে দেখতে অদিতিকে কলকাতায় আসতে হয়নি। অদিতি তাঁর ইনস্টাগ্রামের পাতায় কলকাতার খাবার চেখে দেখার যে ছবি দিয়েছেন, তা দেখে মনে হয়, বাড়িতে বসেই ওই খাবার খেয়েছেন তিনি। কারণ ফুচকা, ফুচকার পুর, তেঁতুলের জল আর কচুরির তরকারি পরিবেশন করা হয়েছে প্লাস্টিকের কন্টেনারে। যে ধরনের পাত্র সাধারণত রেস্তরাঁ থেকে খাবার পাঠানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে ওই ছবি শেয়ার করে অদিতি লিখেছেন, “কলকাতার খাতিরদারি ভায়া কলকাতা!”
আদতে মুম্বইয়ের একটি কলকাতার খাবারদাবারের রেস্তরাঁ থেকেই ওই খাবার এসেছে অদিতির বাড়িতে। তবে অদিতি হঠাৎ কলকাতার খাবার চেখে দেখলেন কেন, তা নিয়ে কৌতূহলী অনুরাগীরা। দিন কয়েক আগেই অদিতি ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাঁর বিয়ের উদ্যাপন বাকি আছে এখনও। বছরশেষের আগেই সেই ম্যাজিক দেখতে পাবেন ভক্তরা। অনেকেই প্রশ্ন করছেন, তবে কি অদিতির বিয়ের উদ্যাপন অনুষ্ঠানের মেনুতে কলকাতার খাবারদাবার থাকবে?