খাওয়াদাওয়ায় বিধিনিষেধ মেনে চলার পাশাপাশি শরীরচর্চাতেও সমান উৎসাহী ক্যাটরিনা। ছবি: সংগৃহীত
গত বছর সাত পাক ঘুরেছেন বলিউড অভিনেতা ভিকি কৌশলের সঙ্গে। বিয়ের পর প্রথম জন্মদিন। ৩৯ বছর পূরণ করলেন বি-টাউনের ডাকসাইটে সু্ন্দরী ক্যাটরিনা কইফ। বিয়ের পর যেন নায়িকার জৌলুস আর ঔজ্জ্বল্যের বাঁধ ভেঙেছে। কালো বিকিনিতে স্বামীর হাত ধরে সমুদ্রসৈকত যাপন হোক কিংবা সকালে নরম সূর্যের আলোয় নিজেকে মেলে ধরা— ক্যাটসুন্দরী সবেতেই স্নিগ্ধ। ক্যাটরিনার ফিটনেস ও রূপরুটিন জানতে চাওয়া অনুরাগীর সংখ্যা কম নয়। অনেকেই জানতে চান, তাঁদের প্রিয় নায়িকা কী ভাবে যত্নে রাখেন নিজেকে। ক্যাটরিনার জন্মদিনে রইল তাঁর ডায়েট ও ফিটনেসের রোজনামচা।
ক্যাটরিনা অত্যন্ত স্বাস্থ্যসচেতন। খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে ভরসা রাখেন বাড়ির খাবারেই। শ্যুটিং-এর চাপ থাকলেও বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে যেতে ভোলেন না। তেমন কঠোর কোনও ডায়েটে নিজেকে কখনও বাঁধেননি নায়িকা। বরং খেতেই ভালবাসেন তিনি। তবে দুগ্ধজাত খাবার একেবারেই থাকে না খাদ্যতালিকায়। গ্লুটেনমুক্ত খাবার খান। কোনও খাবারে বিন্দুমাত্র তেলের ছোঁয়া থাকে না। থাকলেও তা অলিভ অয়েল।
সেদ্ধ খাবার বেশ পছন্দ করেন ক্যাটরিনা। লাউ, গাজর, কুমড়োর মতো বিভিন্ন ধরনের সব্জি সেদ্ধ তাঁর রোজের খাবার। কোনও অবস্থাতেই তিনি এই খাদ্যাভ্যাস বদল করেন না। ইডলি খেতে পছন্দ করেন। প্রাতরাশে মাঝেমাঝে স্বাদ নেন তার। ভাত একেবারেই খান না। খেলেও অল্প পরিমাণে। অনেকেই জানেন না ক্যাটরিনা বিভিন্ন ধরনের চাটনি খেতে অত্যন্ত ভালবাসেন। চাপাটি বা রুটির সঙ্গে কখনও তাঁর পাতে থাকে পালংশাক, ধনেপাতা বা নারকেলের চাটনি। বাড়ি হোক বা শ্যুটিং ফ্লোর— ভিকি-ঘরণির দুপুরের খাবারে থাকে মিষ্টি আলু সেদ্ধ, ডিমের পোচ, স্ম্যাশড পট্যাটো।
সন্ধ্যার দিকে হালকা খিদে মেটাতে চুমুক দেন বেরি স্মুদিতে। কখনও বা কাঠবাদামের দুধ আর এক টুকরো অ্যাভোকাডো।
রাতেও খুব অল্প খাবার খান অভিনেত্রী। বেকড ফিশ কিংবা গ্রিলড চিকেন দিয়ে রাতের আহার সারেন।
খাওয়াদাওয়ায় বিধিনিষেধ মেনে চলার পাশাপাশি শরীরচর্চাতেও সমান উৎসাহী ক্যাটরিনা। সকালে উঠে ধ্যান, প্রাণায়াম ও যোগাসন তাঁর প্রথম কাজ। কাজ না থাকলে দিনের কয়েক ঘণ্টা জিমেই কাটান ‘বার্থডে গার্ল’।