তৈমুর এবং জেহ হওয়ার পরে ওজন বেড়ে গিয়েছিল নায়িকার। ছবি: সংগৃহীত
করিনা কপূরের ফিটনেস বলিপাড়ার অন্যতম চর্চার বিষয়। মা হওয়ার পর জীবনের পাশাপাশি শারীরিক গঠনেও পরিবর্তন আসে। ছিপছিপে তন্বী মেয়েটিও মা হয়ে যাওয়ার পরে গোলগাল হয়ে যায়। করিনা কপূরও ব্যতিক্রম নন। তৈমুর এবং জেহ হওয়ার পরে ওজন বেড়ে গিয়েছিল নায়িকার। মোটা হয়ে গিয়েছিলেন বেবো। সেই সময় বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, মা হওয়ার জন্য এটুকু বদল মেনে নেওয়াই যায়। তবে সন্তানের যত্ন নিতে মায়ের ফিট থাকা প্রয়োজন। সন্তানকে খাওয়ানো থেকে ঘুম পাড়ানো পর্যন্ত অধিকাংশ দায়িত্ব নিতে হয় মায়েদেরকেই। করিনা নিজেও তাই তড়িঘড়ি ওজন কমিয়েছিলেন।
কাজের চাপ থাক কিংবা না থাক, শরীরচর্চা করতে ভোলেন না করিনা। ছবি: সংগৃহীত
মা হওয়ার পর রোগা হওয়া যে খুব সহজ ছিল, তা কিন্তু নয়। প্রচুর পরিশ্রম করে আর ঘাম ঝরিয়ে তবেই কমেছিল ওজন। বলিপাড়ার তারকা ফিটনেস প্রশিক্ষক অনুষ্কা পারওয়ানি। অনুষ্কা শর্মা থেকে আলিয়া ভট্ট— মুম্বইয়ের বহু নায়িকাই তাঁর কাছে শরীরচর্চার পাঠ নেন। করিনাও ফিটনেস প্রশিক্ষক হিসাবে বেছে নিয়েছেন অনুষ্কাকে। সমাজমাধ্যমে বেশ সক্রিয়া অনুষ্কা। মাঝেমাঝেই নিজের ইনস্টাগ্রামের পাতায় নায়িকাদের শরীরচর্চার ভিডিয়ো ভাগ করে নেন। সম্প্রতি করিনার একটি ভিডিয়ো তিনি ইনস্টাগ্রামে দিয়েছিলেন। ছুটির দিনেও শরীরচর্চা করছিলেন করিনা। অনুষ্কা জানিয়েছেন, করিনা এ সব ব্যাপারে খুবই সতর্ক। শরীরচর্চার সঙ্গে কোনও আপস করেন না তিনি। কাজের চাপ থাক কিংবা না থাক, শরীরচর্চা করতে ভোলেন না।
সারা দিনে যতই কাজ থাকুক, নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে ভোলেন না করিনা। শুটিংয়ের চাপ, দুই ছেলের দায়িত্ব হোক কিংবা স্বামী সইফ আলি খানের হাত ধরে লম্বা ছুটিতে বিদেশে পাড়ি দেওয়া, করিনার শরীরচর্চার অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়নি কিছুই। করিনার যোগ প্রশিক্ষকও অভিনেত্রীর শরীরচর্চার প্রতি উৎসাহের কথা মাঝেমাঝেই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলে থাকেন। তবে নিজেকে চাঙ্গা রাখতে করিনা ভরসা রাখেন বালাসনে। এই আসনটি করতে প্রথমে হাঁটু মুড়ে গোড়ালির উপর বসুন। এ বার শরীরটা বেঁকান। শরীরটা এমন ভাবে বেঁকান, যাতে বুক গিয়ে উরুতে ঠেকে। মাথা মেঝেতে রাখুন। আর হাত দু’টি সামনের দিকে প্রসারিত করে রাখুন। এই আসন স্নায়ুতন্ত্রের জন্য খুব উপকারী। সেই সঙ্গে ঘাড় ও পিঠের ব্যথা কমাতেও এর জুড়ি নেই। করিনা জানিয়েছেন, জেহ হওয়ার পর এই আসনটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।