Leg Pain

পায়ের পাতায় দীর্ঘ দিন ধরে যন্ত্রণা অবহেলা করছেন? কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছেন?

প্রত্যেক দিন সাত-আট ঘণ্টা যাঁরা টানা দাঁড়িয়ে থাকেন, তাঁদের পায়ে ব্যথা-সহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। ঠিক কী কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন তাঁরা?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:১৩
Share:

পায়ে ব্যথা শুনতে হয়তো গুরুতর রোগ মনে হচ্ছে না, কিন্তু বাস্তবে বিষয়টা কিন্তু বেশ গম্ভীর। ছবি: শাটারস্টক।

পেশাগত কারণে অনেককেই ক্রমাগত দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়। এর থেকে পায়ে ব্যথা, কোমরে চাপ— এমন নানা সমস্যার সূত্রপাত হয়। পায়ে ব্যথা শুনতে হয়তো গুরুতর রোগ মনে হচ্ছে না, কিন্তু বাস্তবে বিষয়টা কিন্তু বেশ গম্ভীর। দীর্ঘ ক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ অনেক জটিল রোগের জন্ম দেয়।

Advertisement

ইঞ্জিনিয়ার, চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মী, দোকানে বা মলে যাঁরা কর্মরত তাঁদের প্রত্যেক দিন সাত-আট ঘণ্টা যাঁরা টানা দাঁড়িয়ে থাকেন, তাঁদের পায়ে ব্যথা-সহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। ঠিক কী কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন তাঁরা?

১) এ সব ক্ষেত্রে শিরদাড়ার উপরে খুব চাপ পড়ে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, লাম্বার স্পাইনে ক্রনিক ব্যথা হচ্ছে। সেই ব্যথা ক্রমশ পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।

Advertisement

২) পায়ের তলার স্নায়ুগুলিতে চাপ পড়ে। ভাল জুতো না পরলে এই সমস্যা আরও বাড়ে। আমাদের পায়ের পাতায় যে কার্ভ আছে, তাকে বলা হয় আর্চ অব দ্য ফুট। যাঁরা সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন, তাঁদের ওই আর্চের উপরে অসম্ভব চাপ পড়ে। তার থেকে পায়ের তলার নার্ভে চাপ পড়ে ক্রনিক যন্ত্রণা শুরু হয়। যাঁদের ফ্ল্যাট ফুট অর্থাৎ আর্চ নেই, তাঁদের সমস্যাটা আরও বেশি।

পায়ের রক্ত সঞ্চালন ঠিক করতে হলে স্ট্রেচিং, সাইক্লিং-এর মতো ব্যায়াম নিয়ম করে করতে হবে।

৩) বেশি ক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করলে ভ্যারিকোস স্নায়ুর সমস্যা দেখা দেয়। পায়ের ধমনির ভাল্ভগুলি অকেজো হয়ে যায়। এতে রক্ত পায়ের শিরায় এসে জমা হতে থাকে এবং শিরাগুলো দড়ির মতো ফুলে যায়। একেই ভ্যারিকোস ভেন বলা হয়। অনেক সময়ে শিরাগুলি এমন ভাবে জুড়ে যায় যে, পা ফুলতে শুরু করে, তীব্র ব্যথা হয়।

৪) সাইটিক নার্ভ আমাদের কোমর থেকে পা পর্যন্ত গিয়েছে। দাঁড়িয়ে কাজ করলে এই স্নায়ুর উপরেও চাপ পড়ে। পেশি শক্ত হয়ে গেলেই ব্যথা হয়। স্ট্রেচিং ব্যায়াম করলে এই সমস্যাগুলি থেকে বেরোনো যায়।

সমস্যা এড়াতে কী কী করবেন?

এ ধরনের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা নরম সোলের স্নিকার্স জুতো পরার পরমার্শ দেন। সিলিকন সোল কিনতে পাওয়া যায়, সেটাও জুতোর ভিতরে ফিট করিয়ে নেওয়া যায়। এ ছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চা করতেই হবে। পায়ের রক্ত সঞ্চালন ঠিক করতে হলে স্ট্রেচিং, সাইক্লিং-এর মতো ব্যায়াম নিয়ম করে করতে হবে। আর পায়ে যদি অসহ্য যন্ত্রণা করে তা হলে ঈষদুষ্ণ জলে বেশ খানিকটা নুন দিয়ে পায় ডুবিয়ে রাখুন। ক্লান্তিও কাটবে আর পায়ের পাতার পেশিগুলিও আরাম পাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement