Cannibalism

মানুষের মাংস খেতেও আপত্তি নেই! ‘নরখাদক’ বিতর্কে চাপে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো

সংবাদমাধ্যমে দেওয়া বছর ছয়েক আগের এক সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোকে বলতে শোনা যায়, নরমাংস খেতেও অসুবিধা নেই তাঁর। নির্বাচনের মধ্যে সেই ভিডিয়োই হঠাৎ করে সামনে চলে এসেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রিও ডি জেনেইরো শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২২ ১১:৪৭
Share:

প্রেসিডেন্ট এখানে কখনও খেতে আসেননি! প্রতীকী ছবি

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চলছে ব্রাজিলে, তার মধ্যেই হঠাৎ সামনে চলে এসেছে ব্রাজিলের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জ়াইর বোলসোনারোর একটি বিতর্কিত মন্তব্য। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া বছর ছয়েক আগের ওই সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা যায়, নরমাংস খেতেও অসুবিধা নেই তাঁর। নির্বাচনের মধ্যে সেই ভিডিয়ো সামনে আসতেই তাঁকে ‘নরখাদক’ বলে আক্রমণ শুরু করেছে বিরোধীরা।

Advertisement

বিতর্কিত মন্তব্য নতুন নয় কট্টর ডানপন্থী নেতা বোলসোনারোর। এর আগেও বিরোধীদের গুলি করে দেওয়া থেকে মহিলা নেত্রীকে ‘কুকুর’ বলে সম্বোধন, কটু মন্তব্যে বার বার শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। তবুও নরমাংস-মন্তব্য শুনে হতবাক অনেকেই। ভিডিয়োতে তিনি দাবি করেন, এক বার আমাজন অরণ্যে ইয়ানোমামি অঞ্চলে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে মানুষের মাংস রান্না হচ্ছিল। ওই অঞ্চলের রীতি অনুযায়ী দু-তিন দিন ধরে নরমাংস রান্না করার পর কলা দিয়ে সেই মাংস খাওয়া হয় বলে দাবি করেন তিনি। বোলসোনারোর দাবি, সেখানে তাঁকে বলা হয়, যদি তিনি রন্ধন দেখতে যান তবে তাঁকেও নরমাংস খেতে হবে। তাঁর সঙ্গীরা রাজি না হওয়ায় সে যাত্রায় নরমাংস না খাওয়া হলেও, তা খেতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই বলেই দাবি করেন বোলসোনারো।

নৃতত্ত্ববিদরা বলছেন, যে ইয়ানোমামি সম্প্রদায়ের কথা বোলসোনারো বলেছেন, তাঁদের মধ্যে আদৌ নরমাংস ভক্ষণের চল নেই। প্রতীকী ছবি

ভিডিয়ো সামনে আসতেই তীব্র আক্রমণ শুরু করেছেন বিরোধীরা। আমাজনের মূল নিবাসী জনজাতির মধ্যেও দেখা দিয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। বিরোধীদের অভিযোগ, শিল্পপতিদের সুবিধা করে দিতে আমাজন অরণ্যকে ধ্বংস করার ছক কষছেন বোলসোনারো। উৎখাত করছেন অরণ্যের প্রাচীন অধিবাসীদেরও। প্রাচীন জনজাতির মানুষদের হীন দেখানোর লক্ষ্যেই তাঁর এ হেন মন্তব্য বলে দাবি তাঁদের। নৃতত্ত্ববিদরাও বলছেন, যে ইয়ানোমামি সম্প্রদায়ের কথা বোলসোনারো বলেছেন, তাঁদের মধ্যে আদৌ নরমাংস ভক্ষণের চল নেই। একাধিক উপজাতির নেতাও সরব হয়েছেন বিষয়টি নিয়ে। বোলসোনারো কোনও দিন তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে বা খেতে আসেননি বলে দাবি করেছেন তাঁরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement