‘পালকি’তে বর চলে যায়। ছবি- সংগৃহীত
পেশায় সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক। বছর ৩৫-এর প্রভাতকুমার আদতে বিহারের বাসিন্দা। ছেলের বিয়ে নিয়ে বাবা-মায়েদের মধ্যে উত্তেজনা তো থাকেই। তেমনই ছিল প্রভাতের বাবার। কিন্তু ছেলের বিয়ের বাগ্দান হওয়ার দু’দিন পরই আকস্মিক ভাবে মৃত্যু হয় প্রভাতের বাবার।
ছেলের বিয়ে দেখে যাওয়ার সুযোগ হয়নি তাঁর। কিন্তু প্রভাতের বাবা তাঁর শেষ ইচ্ছের কথা জানিয়ে গিয়েছিলেন। বাবার শেষ ইচ্ছের কথা মাথায় রেখেই প্রভাত হেলিকপ্টার চড়ে বিয়ে করতে যাওয়ার আয়োজন করেন।
সূত্রের খবর, দিল্লির একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে হেলিকপ্টার ভাড়া করেন কলকাতার সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওই চিকিৎসক। রক্তে সংক্রমণজনিত সমস্যা নিয়ে বহু দিন ধরেই ভুগছিলেন প্রভাতের বাবা। বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষক রামানন্দ সিং।
বিহারেরই বাসিন্দা বছর ২৮-এর নিশি কুমারীর সঙ্গে প্রভাতের বিয়ে পাকা হওয়ার দু’দিনের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। কষ্ট করে ছেলেকে ডাক্তারি পড়িয়েছেন রামানন্দ। সেই ছেলের বিয়ের আনন্দ উদ্যাপন করতেই ছেলের কাছে আবদার জানিয়েছিলেন হেলিকপ্টার চড়ার। কিন্তু তাঁর শেষ ইচ্ছা অপূর্ণই থেকে গেল।