বাসন মাজা যায় টম্যাটো সস দিয়ে! খাবার হিসেবে কতটা স্বাস্থ্যকর! ছবি: সংগৃহীত।
গরম গরম ফ্রেঞ্চফ্রাই হোক বা শিঙাড়া, টম্যাটো সসে একবার ডুবিয়ে মুখে পুরলেই স্বাদ যেন বেড়ে যায়। চাউমিন হোক বা পাস্তা, রকমারি রেসিপিতে নানা ভাবে ব্যবহার হয় টম্যাটো সসের। লালচে এই সস মানেই, বাচ্চাদের প্রিয় টক-মিষ্টি খাবার।
কিন্তু খাওয়া ছাড়াও কী কাজে লাগতে পারে টম্যাটো সস? এত রকম কাজে সস লাগতে পারে জানলে চোখ কপালে উঠবে যে কারও। সেই সঙ্গে প্রশ্নও, কতটা স্বাস্থ্যকর এই সস।
বাসন ঝকঝকে করে: টম্যাটো সসে বাসন হবে ঝকঝকে। কারণ আছে। এই সস তৈরির সময় ব্যবহার হয় পাতিলেবুর রস। ফলে সসে থাকে অ্যাসিডিক উপাদান। যা শুধু বাসনের কালো দাগ নয়, রান্নার গন্ধ দূর করতেও কাজ করে। তামার বাসন পরিষ্কার করতেও সস কাজ করে বেশ। বাসন মাজার সময় বেশ কিছুটা টম্যাটো সস নিয়ে তার সঙ্গে সামান্য নুন মিশিয়ে ভাল করে মেজে নিলেই হবে।
হাত পরিষ্কার করে: মাছ ধোয়ার পর অথবা রকমারি রান্নার পর অনেক সময় হাত থেকে বাজে গন্ধ বার হয়। হাতের দুর্গন্ধ দূর করতে টম্যাটো সস কয়েক ফোঁটাই যথেষ্ট। সসে থাকা অ্যাসিডিক উপাদানই হাত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। আঙুলে ও হাতের তালুতে খানিকটা সস নিয়ে ভাল করে রগড়ে নিয়ে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তা হলেই হাত হবে পরিষ্কার, থাকবে না বাজে গন্ধ।
মরচে দূর করে: লোহার বাসন বা পাত্রে অনেক সময় মরচে পড়ে। মরচের উপর বেশ কিছুটা টম্যাটো সস দিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। তার পর ভাল করে ঘষে নিলেই উঠে যাবে মরচে।
ক্ষততে ব্যবহার: অনেক সময় ফ্রিজে টম্যাটো সসের প্যাকেট রয়ে যায়। কোথাও ছড়ে গেলে বা ব্যথা লাগলে ‘আইস প্যাক’ হিসাবে সেটা ব্যবহার করা যেতে পারে।
মেকআপ:বাচ্চাদের নাটকে বা অনেক সময় কোনও থিম-এর জন্য সাজতে বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার করা হয়। রক্ত বোঝাতে লাল টম্যাটো সস বেশ মানানসই হবে।
তা হলে টম্যাটো কেচাপ কি পেটের জন্য ক্ষতিকর?
চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলছেন, “সস দীর্ঘ দিন ভাল রাখতে প্রক্রিয়াজাত রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। তা শরীরের ক্ষতি করতেই পারে। ক্ষুদ্রান্ত্রে, বৃহদন্ত্রে এর প্রভাব পড়তেই পারে। একটু-আধটু খেলে তেমন ভয় না থাকলেও, নিয়মিত খাওয়া একেবারেই অনুচিত। এ নিয়ে যে খুব বেশি আলোচনা বা গবেষণা হয়েছে তা নয়। সেটা হলে অনেক তথ্যই বেরিয়ে আসতে পারে।”