আনন্দবাজার অনলাইনের বছরের বেস্ট অনুষ্ঠানে রাইমা, মধুমিতা, পাওলি এবং সুস্মিতা। নিজস্ব চিত্র।
পুরনোকে বয়ে নিয়ে চলা নয়। বেড়া ভেঙে স্থাপন করা নতুন ঐতিহ্য। বরাবর সে পথেই হাঁটে আনন্দবাজার অনলাইন। সেই পথচলার দৃপ্ত ভঙ্গিতেই যেন গাঁথা রইল তার শ্রেষ্ঠত্বের অন্বেষণও। বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে, ভৌগোলিক থেকে সামাজিক বেড়া ভাঙার সাহসে আলোকিত হয়ে রইল আনন্দবাজার অনলাইনের ‘বছরের বেস্ট সন্ধ্যা’। এ বার যার দুইয়ে পা। অতিমারি আবহে প্রথম বছর সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানই ছিল ভরসা। এ বছর আড়ে-বহরে চোখ টেনে সপ্তাহশেষের ঝলমলে সন্ধ্যায় শিরোপা পেলেন ‘বছরের বেস্ট একাদশ’। এবং সেই সন্ধ্যায় পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বহু তারকা। শুক্রবারের সন্ধ্যায় আইটিসি রয়্যাল বেঙ্গলে দেখা গেল চাঁদের হাট। কিন্তু কেন তারকার সাজ নজর কাড়ল সবচেয়ে বেশি? সাজে ‘বেস্ট’দের খুঁজে নিল আনন্দবাজার অনলাইন।
ঘিয়ে রঙের সিল্কের শাড়িতে চওড়া জরির পাড় দারুণ মানিয়েছিল সুস্মিতাকে। নিজস্ব চিত্র।
সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়
ঘরে যতই লোক থাক, তিনি ঘরে ঢুকলে নজর কাড়বেনই। ঠিক যেমন ইন্ডাস্ট্রিতে ঢুকেই নজর কেড়েছেন। ঘিয়ে রঙের সিল্কের শাড়িতে চওড়া জরির পাড় দারুণ মানিয়েছিল সুস্মিতাকে। তবে প্রথমেই চোখ যাবে তাঁর গলার চোকারে।
ছিমছাম সাজেও গ্ল্যামারাস দেখাচ্ছিল মধুমিতাকে নিজস্ব চিত্র।
মধুমিতা সরকার
সাদা শিফন শাড়িতে সামান্য টাই অ্যান্ড ডাউ কাজ। সরু সিক্যুইনের পাড় আর সাদা টেক্সচার্ড ব্লাউজ। ছিমছাম সাজেও কতটা গ্ল্যামারাস দেখানো যায়, তা মধুমিতা রীতিমতে শেখাতে পারবেন বাকি শৌখিনীদের।
‘নো মেকআপ’ সাজেও অনন্যা রাইমা নিজস্ব চিত্র।
রাইমা সেন
হালকা হলুদ রঙের শাড়ির সঙ্গে হলুদ সিক্যুইনের ব্লাউজ। পোশাক যতটা ঝলমলে, মেকআপ ততটাই নূন্যতম। তবে ‘নো মেকআপ’ সাজেও যেন তিনি অনন্যা। রাইমা সেনের সাজ এমনই যে সব নজর তাঁর কাছেই ধরা দেবে।
কোনও অলঙ্কার ছাড়াই উজ্জ্বল পাওলি দাম। নিজস্ব চিত্র।
পাওলি দাম
কালো পৈথানী শাড়িতেই কেল্লাফতে। বরাবরের মতোই বাকিদের সাজ অনেকটা পিছনে ফেলে দিলেন পাওলি দাম। তারও রূপটান ছিল যথাসামান্য এবং খোলা চুল ছিল চিকনের মতো চকচকে। ছোট্ট টিপ ছাড়া অন্য কেনও অলঙ্কার পরেননি তিনি।
সাজপোশাকে মহুয়া বরাবরই টিপটপ, স্মার্ট। তাঁর সাজের কাছে হার মানল বাকি সকলেই। নিজস্ব চিত্র।
মহুয়া মৈত্র
পর্দার তারকা না হয়েও রাজনীতির দুনিয়ায় তিনি কোনও অংশে কম তারকা নন। যেমন তাঁর ভাষণের তেজ, তেমনই তাঁর গ্ল্যামারের ছটা। সাজপোশাকে তিনি বরাবরই টিপটপ, স্মার্ট। স্বভাব মতোই হ্যান্ডলুম সিল্কের শাড়ি পরে ছিলেন মহুয়া মৈত্র। সঙ্গে মসৃণ সোজা চুল এবং সামান্য রূপটান। তাঁর সাজের কাছে হার মানল বাকি সকলেই।
বৈশাখীর সাজ নিয়ে উৎসাহী ছিলেন সকলেই নিজস্ব চিত্র।
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়যে কোনও জায়গায় তাঁরা রং মিলিয়ে পোশাক পরেই যান। শোভন-বৈশাখীর সাজ নিয়ে সকলেই উৎসাহী। বৈশাখী নীলের নানা রকম শেডের কারুকাজ করা একটি শাড়ি পরে এসেছিলেন। সঙ্গে মানানসই গয়না এবং তাঁর মতো ধাঁচের মেকআপ।