এমন মানুষের কি ‘বছরের বেস্ট’ না হওয়া সাজে? তারকাদের ভিড়ে তাই নিজগুণেই জায়গা করে নেন সুকুমার। কারণ, শুধু গ্ল্যামারের পিছনে ছুট নয়, কেবল খ্যাতনামীদের শিরোপা দেওয়া নয়, আনন্দবাজার অনলাইনের ‘বছরের বেস্ট’ খুঁজে নিতে চায় আমজনতার ভিড়ে লুকিয়ে থাকা এমন ‘অ-সাধারণ’ মানুষকেও।
সুকুমার উপাধ্যায়ের হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন মহুয়া মৈত্র এবং অভিজিৎ চৌধুরী। —নিজস্ব চিত্র
আনন্দবাজার অনলাইনের ‘বছরের বেস্ট’। আনন্দবাজার অনলাইনের চোখে বছরের সেরা একাদশে তারার মেলা। তাঁদের ভিড়েই শামিল তিনিও। সাধারণ। অথচ অ-সাধারণ। আনন্দবাজার অনলাইনে নভেম্বর ২০২১-এর ‘অ-সাধারণ’-এর মুকুট তাঁরই মাথায়। সুকুমার উপাধ্যায়।
সুকুমার পেশায় পুলিশ। মাইনের টাকায় ভর করে সমাজের, আশপাশের মানুষের ভাল করার তাগিদ। কখনও ঘর হারানোকে ঘরে ফেরান, কখনও বা বার্ধক্যভাতা তছরুপ করা পোস্টমাস্টারকে ধরিয়ে দেন। পেশার নির্দেশে নয়। স্রেফ মনের টানে। এমন মানুষই তো ‘বছরের বেস্ট’ হবেন!
তারকাদের ভিড়ে তাই নিজগুণেই জায়গা করে নেন সুকুমার। কারণ, শুধু গ্ল্যামারের পিছনে ছুট নয়, কেবল খ্যাতনামীদের শিরোপা দেওয়া নয়, আনন্দবাজার অনলাইনের ‘বছরের বেস্ট’ খুঁজে নিতে চায় আমজনতার ভিড়ে লুকিয়ে থাকা এমন ‘অ-সাধারণ’ মানুষকেও।
২০২১-এর জানুয়ারি থেকে আনন্দবাজার অনলাইনে শুরু হয়েছে ‘অ-সাধারণ’। প্রতি মাসের শেষ দিনে সেখানে বেছে নেওয়া এমন এক জনকে, যিনি সমাজের ভিড়ে থেকে নিভৃতে, নীরবে কাজ করে যান। নিজের জন্য নয়। অন্যের জন্য। অন্যকে ভাল রাখার জন্য। সাধারণের ভিড়ে হয়ে ওঠেন অ-সাধারণ। মেঘে ঢাকা সেই সব তারাদের প্রতি মাসে চিনিয়ে দেয় আনন্দবাজার অনলাইন। সুকুমারও যে তাঁদেরই দলে!