অ্যাপ-বাইক দেখেই হকচকিয়ে গেলেন যুবক। ছবি:সংগৃহীত।
অফিসে যাবেন বলে অ্যাপ-বাইক ডেকেছিলেন বেঙ্গালুরুর এক যুবক। নির্দিষ্ট সময়ে বাইক আসতেই চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার নিশীথ পটেল নামে ওই যুবকের। অ্যাপ-ক্যাবের পাশাপাশি, অ্যাপ নির্ভর বাইকের জনপ্রিয়তাও ইদানীং মধ্যগগনে। ভাড়াও তুলনায় কম। দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়া যায়। কাছাকাছি কোথাও যেতে হলে অনেকেরই প্রথম পছন্দ অ্যাপ-বাইক। তবে অধিকাংশ অ্যাপ-বাইক সাধারণত পুরনো মডেলের। কোনওটি আবার একেবারে লঝ্ঝড়ে। তেমনটাই দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু বেঙ্গালুরুর যুবক যা দেখলেন, তা তিনি বোধ হয় কখনও ভুলবেন না। মাথায় হেলমেট পরে ‘রয়্যাল এনফিল্ড’ চড়ে এলেন অ্যাপ-বাইক চালক। তা দেখে স্বাভাবিক ভাবেই বিস্মিত হয়ে পড়েন যুবক।
তবে চমকের শেষ নয় এখানেই। প্রাথমিক বিস্ময় কাটিয়ে বাইকে চেপে বসেন নিশীথ। তিনিই নিজে থেকে আলাপ করেন বাইকচালকের সঙ্গে। কথাবার্তা শুরু হয়। এবং কথায় কথায় নিশীথ জানতে পারেন, ওই চালক তাঁর মতোই পেশায় এক জন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করেন। কাজের চাপ কম থাকলে অ্যাপ-বাইক চালান। এটা শুনে ফের অবাক হন নিশীথ। ওই চালক জানিয়েছেন, বাইক চালাতে সবচেয়ে বেশি ভালবাসেন তিনি। কলেজে পড়াকালীন বাইক নিয়েই পাড়ি দিতেন দূরের শহরে। এখনও যান। বাইক চালাবেন বলে নিজেই অ্যাপ-বাইক সংস্থায় কাজ নেন। ছুটির দিন সারা দিন এই কাজটাই করেন তিনি। অন্য দিন অফিস বাঁচিয়ে সময় পেলে তবেই বুকিং নেন। যে বাইক দেখে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন নিশীথ, সেটিও সদ্য কিনেছেন ওই যুবক।
অফিস যাওয়ার পথে এমন অভিজ্ঞতার কথা টুইটারে লিখেছেন নিশীথ। প্রায় ছ’হাজার মানুষ পছন্দ করেছেন নিশীথের এই পোস্ট। এত বড় চাকরি করেও অ্যাপ-বাইক চালাচ্ছেন জেনে অনেকেই ওই যুবকের প্রশংসা করেছেন। নিশীথের কাছেও উড়ে এসেছে প্রশ্ন, ‘আপনিও কি চাকরির পাশাপাশি অন্য কোনও পেশায় যোগ দেওয়ার কথা ভাবছেন?’