বেলজিয়ামবাসী বছর ২৭-এর ক্যমিলি বিয়ে করলেন কর্নাটকের বছর ৩০-এর অনন্ত্রাজুকে। ছবি: শাটারস্টক
পর্দার গল্প নয়। সত্যি। প্রেম যে কোনও সীমানা মানে না, তা আর এক বার প্রমাণ করলেন অনন্ত্রাজু এবং ক্যামিলি। বেলজিয়ামবাসী বছর ২৭-এর ক্যমিলি বিয়ে করলেন কর্নাটকের বছর ৩০-এর অনন্ত্রাজুকে। ২৫ তারিখ হাম্পির বিরূপাক্ষ মন্দিরে চার হাত এক হয় যুগলের।
২০১৯ পরিবারের সঙ্গে ভারতে ঘুরতে আসেন ক্যামিলি। অনন্ত্রাজু এক জন অটোচালক এবং গাইডও বটে। কর্নাটকের অলিগলি ক্যামিলিদের ঘুরিয়ে দেখান অনন্ত্রাজু। শুধু তা-ই নয়, তাঁদের থাকার ব্যবস্থাও করে দেন তিনি।
অনন্ত্রাজুর সততা ও ব্যবহার মুগ্ধ করে ক্যামিলিকে। দেশে ফিরেও সমাজমাধ্যমে অনন্ত্রাজুর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন তিনি। দু’জনেই একে অপরের প্রেমে পড়েন। কিন্তু কোভিডের কারণে একে অপরের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি যুগল। মাস ছয়েক আগে একে অপরের বাড়িতে তাঁরা নিজেদের সম্পর্কের কথা জানান। দু’জনের পরিবারই তাঁদের সম্পর্কের কথা জেনে বেজায় খুশি। বিয়ে সেরে ফেলেন দম্পতি। অনন্ত্রাজু বলেন, ‘‘ভাইবোন আর বাবা-মায়ের সঙ্গে ক্যামিলি হাম্পিতে আসেন। আমি তাঁদের থাকা খাওয়ার সব ব্যবস্থা করে দিই। দেশে ফেরার আগে ক্যামিলি আবার হাম্পিতে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়।’’
কোভিডের বিধিনিষেধের কারণে বিয়ের তারিখ পেতে অনেকটা সময় লেগে যায়। ছবি: সংগৃহীত।
এর পর কী হল? পাত্র বলেন, ‘‘বছর খানেক আগে আমরা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে কোভিডের বিধিনিষেধের কারণে বিয়ের তারিখ পেতে অনেকটা সময় লেগে যায়। হিন্দু রীতি অনুযায়ী আমাদের বিয়ে হয়। ক্যামিলির প্রায় ৪০ জন আত্মীয় ও বন্ধুবান্ধব বিয়েতে হাজির হন বেলজিয়াম থেকে। আমাদের বিয়ে প্রমাণ করেছে প্রেমের সম্পর্কে জাত-ধর্ম-দেশ— কোনও কিছুই বাধা হতে পারে না।’’
আর কনে কী বলেন? ক্যামিলি বলেন, ‘‘যাঁকে ভালবাসি, তাঁকেই বিয়ে করতে পেরেছি। এটা আমার কাছে সৌভাগ্যের বিষয়। আলাদা ভাষা, আলাদা সম্প্রদায়, আলাদা দেশ আমাদের সম্পর্কে বাধা হতে পারেনি।’’