বলিরেখা রুখতে নজর রাখুন খাবার পাতে। ছবি: আইস্টক।
বয়স ৪৫ পেরলো কি পেরলো না, ত্বক তার শিথিলতা হারাতে শুরু করে। অকালেই বলিরেখা ত্বককে আরও বিধ্বস্ত দেখায়। প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছনোর আগেই কপাল জুড়ে বলিরেখা চেহারাকে বয়সের তুলনায় বেশি বুড়িয়ে দেয়। বলিরেখা ঢাকতে পার্লারে গিয়ে অনেক কৌশল নিলেও তা সম্পূর্ণ দূর করা যায় না। অথচ প্রতি দিনের খাবার পাতে খানিকটা নজর দিলেই এই বলিরেখা অনেকটা দূর করা যায়।
শীতের বাজার মানেই বিট-গাজরে ঠাসা। স্যালাড থেকে শুরু করে নানা রকমের তরিতরকারিতে বিট-গাজরের ব্যবহার রয়েছে। তবে কেবল খাবারের স্বাদ বাড়াতেই নয়, বিটের মধ্যে রয়েছে এমন কিছু গুণ যা ত্বকের নানা কাজে লাগে। বলিরেখা কমাতেও অত্যন্ত কার্যকর এই সব্জি।
বিটে প্রচুর ফাইবার ছাড়াও থাকে ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি ও আয়রন। তবে খেয়াল রাখবেন, বিটে কিন্তু গ্লুকোজ় আর ফ্রুকটোজ়ের পরিমাণও বেশি। তাই রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকলে বিট না খাওয়াই ভাল। তবে ডায়াবিটিস না থাকলে বিট হতেই পারে শীতে আপনার প্রতি দিনের সঙ্গী।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস কী ভাবে ছড়াচ্ছে? উপসর্গই বা কী? অসুখ রুখতে কী কী করবেন
মাত্র কয়েক মিনিট সময় দিলে এই দুই ব্যায়ামেই উধাও হতে পারে ভুঁড়ি!
ত্বক সুস্থ ও টানটান রাখার জন্য প্রতিদিন নতুন কোষের উৎপাদন হওয়া প্রয়োজন। ভিটামিন এ এই প্রক্রিয়াটির জন্য অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান। বিটের পাতার প্রধান উপাদানই হচ্ছে ভিটামিন এ এবং ক্যারোটিনয়েড। এ ছাড়াও লুয়েটিন নামের এক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও থাকে এতে। শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যালসের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম এরা প্রত্যেকেই। এ ছাড়া বিট থেকে পাওয়া যায় পর্যাপ্ত ভিটামিন সি, যা আমাদের কোলাজেন সিন্থেসিসের হার বাড়ায়। ত্বক টানটান রাখার জন্য বিট তাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শরীরের প্রতিটি কোষে রক্ত পরিবহণের জন্য আবার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খনিজ আয়রন। শরীরে আয়রনের ঘাটতিতে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য কমতে শুরু করবে। দেখা দেবে বলিরেখা। ত্বক শিথিল হতেও শুরু করবে। তাই শীতে প্রতি দিন খাদ্যতালিকায় বিট রাখুন ত্বকের স্বার্থেই।