(বাঁ দিক) মাধুরী দীক্ষিত এবং (ডান দিকে) শিল্পা শেট্টি। ছবি:সংগৃহীত।
মাধুরী দীক্ষিত, শিল্পা শেট্টি, করিশ্মা কপূর— প্রত্যেকেই ৪০ পেরিয়েছেন। তাঁদের দেখে অবশ্য তা বোঝার উপায় নেই। আঁটসাঁট হাঁটু ঝুল পোশাক কিংবা শিফন শাড়ি, সবেতেই সমান মানানসই সকলে। বয়স ধরে রাখা সহজ কাজ নয়। একটা সময়ের পর থেকে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে চেহারায়। অনেক সময়ে অকাল বার্ধক্যও গ্রাস করে। লাবণ্য ধরে রাখতে নায়িকারা বহু পরিশ্রম করেন। কঠোর নিয়মে বাঁধেন দৈনন্দিন যাপন। সাধারণের পক্ষে সেই নিয়ম মেনে চলা সব সময় সম্ভব নয়। ৪০-এর পর বয়সের চাকা আটকে রাখতে অনেকেই প্রসাধনী ব্যবহার করেন। সব সময়ে তা কার্যকর হয় না। তবে নিয়ম করে যদি কয়েকটি আসন করতে পারেন, চল্লিশেও চালসে নয়, ত্বকে থাকবে কিশোরীর লালিত্য।
১) বজ্রাসন
হাঁটু ভেঙে পায়ের পাতা মুড়ে গোড়ালির উপর নিতম্ব রেখে বসুন। হাঁটু জোড়া থাকবে পাশাপাশি। সোজা রাখতে হবে শিরদাঁড়াও। হাত দু’টি থাকবে হাঁটুর উপরে। কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে থাকার পর ধীরে ধীরে আগের অবস্থায় আসুন। নিয়ম করে এই আসনটি করলে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হবে। ত্বকও থাকবে টানটান।
২) পশ্চিমোত্তনাসন
প্রথমে দুই পা টানটান করে সোজা হয়ে বসুন। শ্বাস নিতে নিতে দু'হাত মাথার উপরে তুলুন। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাত-সহ কোমর থেকে সামনের দিকে বেশ খানিকটা ঝুঁকে মুখ হাঁটুতে স্পর্শ করুন। আসন করার সময়ে পেট ভিড়ের দিকে হালকা টেনে রাখুন। আগের অবস্থায় ফেরার সময়ে শ্বাস নিতে নিতে হাত ওঠান এবং শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাত নামিয়ে নিন। দিনে তিন থেকে পাঁচ বার এটি করুন।
৩) চক্রাসন
দুই পায়ের মাঝখানে কাঁধের থেকে দূরত্ব রেখে শুয়ে পড়ুন। পায়ের ভাঁজ করে এমন অবস্থানে রাখুন, যাতে নিতম্বের সঙ্গে গোড়ালির স্পর্শ লাগে। দুই হাত উপরে তুলে মাথার দু’পাশে হাতের তালু দু’টি মাটিতে রাখুন। দীর্ঘশ্বাস নিয়ে প্রথমে নিতম্ব ও কোমর উপরে তুলুন। হাতে ভর রেখে পিঠ ও মাথা উপরে তুলে ফেলুন। আসন থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার সময়ে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পিঠ ও তার পরে কোমর নামিয়ে নিন।