নিয়মিত চুল আঁচড়ালে মাথার ত্বকে বৃদ্ধি পায় রক্ত সঞ্চালন। ছবি: সংগৃহীত
ঝলমলে চুল পেতে মাথা চুলকে কুল পাচ্ছেন না? প্রসাধনী নিয়ে চুলোচুলি ছেড়ে নিয়মিত চুল আঁচড়ান। চির নবীন চিরুনির গুণেই নাকি লুকিয়ে আছে শকুন্তলার কুন্তলা হওয়ার রহস্য। তাই কেশ রহস্য সমাধানে ব্যোমকেশ হওয়ার দরকার নেই। বরং জেনে নিন, নিয়মিত চুল আঁচড়ানোর মহিমা।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। নিয়মিত চুল আঁচড়ালে মাথার ত্বকে বৃদ্ধি পায় রক্ত সঞ্চালন। ফলে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন থেকে পুষ্টি উপাদান, সবই সহজে পৌঁছয় চুলের গোড়ায় যা চুলের সুস্থতা বৃদ্ধিতে আবশ্যক।
২। মাথার ত্বকে থাকে সিবেসিয়াস গ্রন্থি। এই গ্রন্থি থেকে সিবাম ক্ষরণ হয়, যা চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত চুল আঁচড়ালে প্রাকৃতিক তেলও সহজে পৌঁছয় চুলের গোড়ায় ফলে মাথার ত্বকে বজায় থাকে অম্লত্বের ভারসাম্য।
৩। মৃত কোষ, খুশকি, ভাঙা চুল ও বিভিন্ন ধরনের বাহ্যিক বর্জ্য পদার্থ সাফ করতেও নিয়মিত চুল আঁচড়ানোর বিকল্প নেই। ত্বকের গহ্বর গুলির মুখ পরিচ্ছন্ন থাকলে স্বাস্থ্যকর থাকে চুল।
তবে সঠিক সুফল পেতে সঠিক ভাবে চুল আঁচড়ানোর কৌশল জানাও কিন্তু অত্যন্ত জরুরি। চুল আঁচড়ানোর সময় মাথায় রাখুন সহজ কিছু কৌশল।
১। প্লাস্টিকের চিরুনির বদলে ব্যবহার করুন কাঠের চিরুনি। এতে চুল ভাঙে কম। গোড়া ছেঁড়ার সমস্যাও যায় কমে।
২। প্রথমেই গোড়া থেকে আঁচড়বেন না চুল, তাতে বৃদ্ধি পায় চুল পড়ার সমস্যা। নীচের অংশ থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে গোড়ার দিকে পৌঁছন।
৩। চুল পড়ার সমস্যায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কথাটি সকলে ভুলে যান তা হল, ভেজা অবস্থায় চুল পড়া ও ডগা ভাঙার সম্ভবনা থাকে সবচেয়ে বেশি। কাজেই চুল আঁচড়ানোর আগে চুল শুকিয়ে নিতে ভুললে চলবে না।