জিন্সের সামনে যে বড় পকেট থাকে তার ঠিক উপরের অংশেই ছোট আরেকটি পকেট থাকে। ছবি: সংগৃহীত
নারী-পুরুষ নির্বিশেষে জিন্স সম্ভবত সব থেকে জনপ্রিয় ফ্যাশন। হালের টিশার্ট থেকে সাবেক পাঞ্জাবি— বিভিন্ন ধরনের পোশাকের সঙ্গেই জিন্স পরেন ছেলে-মেয়েরা। তবে জিন্স পরুন বা না পরুন অনেকেই হয়তো খেয়াল করেছেন, জিন্সের সামনে যে বড় পকেট থাকে তার ঠিক উপরের অংশেই ছোট আরেকটি পকেট থাকে। পকেটের উপর আরও একটি ছোট্ট পকেট রাখার রহস্যটি বা কী?কেউ ভাবেন এটি খুচরো পয়সা বা ছোটখাটো জিনিস রাখার জায়গা এটি। অনেকেই এই পকেটকে ‘কয়েন পকেট’ও বলেন। বহু মানুষ আবার এই পকেটে কিছুই রাখেন না। জ্যাক ডি নামের এক ইউটিউবার সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো করে জানালেন এই পকেটের ইতিহাস। বিষয়টি সত্যি না মিথ্যা, তা যাচাই করা যায়নি। তবে বহু নেটাগরিকই সমর্থন জানিয়েছেন বিষয়টিকে।
ঘড়ি রাখার জন্যই ১৮০০ শতকের শেষের দিকে লেভি স্ত্রাউস অ্যান্ড কোং এই পকেট নিয়ে আসে তাদের তৈরি জিন্সে। ছবি: সংগৃহীত
জ্যাক দাবি করেছেন, এখন ফ্যাশনের অঙ্গ হলেও আগে মূলত খনি শ্রমিকরা জিন্সের পোশাক পরতেন। কায়িক শ্রমে সাধারণ পোশাক ছিঁড়ে যায়, লেগে যায় ময়লা। জিন্সে সেই ঝামেলা কম। জ্যাকের দাবি, তখন কারখানা বা খনিতে সময় দেখার জন্য চেন বা ছোট্ট শিকল দেওয়া পকেটঘড়ি ব্যবহার করতেন অনেকে। সেই ঘড়ি রাখার জন্যই ১৮০০ শতকের শেষের দিকে লেভি স্ত্রাউস অ্যান্ড কোং এই পকেট নিয়ে আসে তাদের তৈরি জিন্সে। ঘড়িকে সুরক্ষিত রাখার জন্য সে সময় থেকেই জিন্সে এই পকেটের আবির্ভাব। কোমরের বেল্টের সঙ্গে ঝুলিয়ে এই পকেটে ঘড়ি রাখলে ঘড়ি ভেঙে যাওয়ার ভয় থাকত না। ওই সংস্থার নিজস্ব ঐতিহাসিক ট্রেসি পানেক-ও একই কথা জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমে। কালের নিয়মে সেই ছোট পকেটঘড়ি হারিয়ে গেলেও পকেট রাখার প্রচলন থেকেই গিয়েছে, জানান ট্রেসি।